1. কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক ক্রিকেট টিম গঠনের জন্য ৩০ জনের। একদল শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে ১, ২, ৩ এভাবে ৩০ পর্যন্ত ক্রমিক মান প্রদান করেন। অতঃপর জোড় এবং বিজোড় ক্রমিক মানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুটি ক্রিকেট টিম গঠন করলেন।
2. জনাব ইসমাইল একজন মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক। তিনি ছাত্রদের শিক্ষণের উপর গণ্ডগোলের প্রভাব দেখার জন্য তার ক্লাশের ছাত্রদের জোড়-বিজোড় রোল নম্বর এর ভিত্তিতে সমান সংখ্যক ছাত্র দিয়ে "ক" দল এবং "খ" দল গঠন করেন। তিনি "ক" দলকে গণ্ডগোলযুক্ত পরিবেশে এবং "খ" দলকে গণ্ডগোলমুক্ত পরিবেশে দুইটি ভিন্ন কক্ষে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কতগুলো অর্থহীন শব্দ তালিকা মুখস্থ করতে দেন। পরীক্ষণ শুরুর পূর্বে তিনি মন্তব্য করেন যে, গণ্ডগোলযুক্ত পরিবেশের শিক্ষণ গণ্ডগোলমুক্ত পরিবেশের শিক্ষণের তুলনায় কম হবে। পরীক্ষণ শেষে ফলাফল ইসমাইল সাহেবের মতামতের সাথে মিলে যায়।
3. হামিদ মিয়ার সাথে সম্পত্তি নিয়ে রশিদ মিয়ার অনেকদিন যাবৎ বিবাদ চলছিল। এক পর্যায়ে বিবাদটি এমন পর্যায়ে পৌছাল যে ক্ষুদ্ধ হামিদ মিয়া অপর পক্ষকে বললেন, "আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব"। একথা শুনে রশিদ মিয়া চরম অপমান বোধ করেন এবং তার ভিতর রাগ ও ক্রোধের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া হামিদ মিয়ার উক্তির সময় তার দেহভঙ্গি ও বাচনিক আচরণ ছিল উস্কানিমূলক ও আক্রমণাত্মক। তাই রশিদ মিয়াও ক্রোধে ঘোষণা করেন তিনিও সবকিছু দিয়ে এর মোকাবিলা করবেন।
4. জনাব জায়েদ একজন শিক্ষক। তিনি লক্ষ করলেন তার ছাত্র রিয়াজ খুবই অমনোযোগী এবং প্রায়ই ক্লাসে অনুপস্থিত থাকে। জনাব, জায়েদ রিয়াজের মাকে একজন মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ নিতে বললেন। মনোবিজ্ঞানী ১ম পর্যায়ে রিয়াজকে বিভিন্ন রংয়ের কালি সম্বলিত কিছু কার্ড দেখান এবং কার্ডে কী দেখছে তা লিখতে বলেন। এ পর্যায়ে মনোবিজ্ঞানী রিয়াজকে ঠিকমত বুঝতে না পেরে ২য় পর্যায়ে ভিন্ন কতগুলো অস্পষ্ট দ্ব্যর্থবোধক ছবিসম্বলিত কার্ড দেখান এবং কী দেখছে তার ভিত্তিতে গল্প' লিখতে বলেন। এবার লিখিত গল্পগুলি ব্যাখ্যা করে মনোবিজ্ঞানী রিয়াজের সমস্যা বুঝতে পারেন।
5. মারুফ সহজ-সরল জীবনযাপন করে। সে সৃষ্টি জগতের রহস্য খুঁজে বেড়ায় এবং স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে নিয়োজিত থাকে। নিজের এবং অন্যের জন্য ক্ষতিকর কখনো কিছু করা থেকে বিরত থাকে। সমাজের লোকজন তাকে ভালো মানুষ হিসেবে শ্রদ্ধা করে। মারুফের বন্ধু রহিম অত্যন্ত হিসাবি লোক। প্রতিটি কাজের মধ্যে সে লাভ-ক্ষতি হিসাব করে। নিজের প্রয়োজনের বাইরে কোনো কাজে নিজেকে যুক্ত করে না। সমাজের লোকজন তাকে একজন স্বার্থপর ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করে।