1. মিসেস সাবিহা ১৮৮০ সালে একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন শিক্ষানুরাগী, প্রতিবাদী ও সমাজসংস্কারক। প্রতিকূল পারিবারিক ও সামাজিক পরিবেশে জন্মগ্রহণ করেও তিনি নিজের চেষ্টায় আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ওঠেন এবং শিক্ষা বিস্তার, নারী জাগরণ, নারীদের অধিকার আদায়ে অসামান্য অবদান রেখে চিরস্মরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হোন।
2. যুদ্ধবিধ্বস্ত ইংল্যান্ডের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পুনর্গঠনে সরকার মি. সুকান্তকে প্রধান করে একটি "সামাজিক বিমা ও আন্তবিভাগীয় তদন্ত কমিটি” গঠন করে। কমিটি দু'বছর যাবৎ বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও পর্যবেক্ষণপূর্বক সুপারিশমালা প্রদানের সময় সীমাহীন অভাব, অজ্ঞতা, স্বাস্থ্যহীনতা, মলিনতা ও কর্মবিমুখতাকে দারিদ্র্যের কারণ হিসেবে অভিহিত করে বলে, "সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিই কেবল এরূপ পরিস্থিতি থেকে ইংল্যান্ডের মানুষকে বাঁচাতে পারে”।
3. শিশু সাধন ও মিলি এতিম দুই ভাই-বোন সদরঘাটের লন্য টার্মিনালে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত। হন্ধুর মিয়া ও হবু মিয়াও তাদের সাথে ভিক্ষা করে। হন্ডুর মিয়া সম্পূর্ণ পঙ্গু ব্যক্তি কিন্তু হবু মিয়া অলস প্রকৃতির ভবঘুরে যুবক। এরকম অসংখ্য মানুষ যাস, রেল, লঞ্চ স্টেশন ও মন্দির, মসজিদ ও গির্জার ফটকে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত হচ্ছে। এদের কল্যাণে এখনো ১৬০১ সালের রাণী এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইন প্রয়োগযোগ্য।
4. সুজন শাহ্জালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন বিষয় নিয়ে পড়ালেখা করছে- যা বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই বর্তমানে একটি অপরিহার্য পেশা হিসেবে স্বীকৃত এবং বিষয়টি সমস্যাগ্রস্ত সেবাপ্রার্থীকে এমনভাবে সাহায্য করে যাতে সেবাপ্রার্থী নিজেই নিজের বস্তুগত ও অবস্তুগত সম্পদ কার্যকরভাবে ব্যবহার করে সমস্যার বিজ্ঞানভিত্তিক ও স্থায়ী সমাধানে সক্ষম হয়। সমাজে জটিল আর্থ-সামাজিক-মনো-দৈহিক সমস্যা মোকাবিলায় এর গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
5. বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব সালাম তাঁর নিজ এলাকা তারাবোতে সমস্যাগ্রস্তদের সেবাদানের জন্য একটি মানবিক সংস্থা গড়ে তোলেন। উক্ত সংস্থার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য অনুযায়ী নীতিমালা প্রণয়ন, পরিকল্পনা ও কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বিভিন্ন স্তরে প্রয়োজনীয় দক্ষ কর্মী নিয়োজিত করে তাদের স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করেন।