1. একদা হাব্বান সাহেব বাজারে গিয়ে তার স্ত্রীর জন্য একটি সোনার হার কিনতে গিয়ে ধোঁকা খেলেন। তিনি ঘটনাটি এলাকার মসজিদের ইমাম সাহেবকে জানালে ইমাম সাহেব ধোঁকাবাজির কুফল সম্পর্কে জুমআর বয়ানে আলোকপাত করলেন। তিনি বললেন, যারা ধোঁকাবাজ তারা মূলত আত্মপ্রতারিত। তাদের অন্তর রোগগ্রস্ত হওয়ায় তারা তা টের পায় না। অন্তরের রোগ তাদের হিতাহিত জ্ঞানশূন্য করেছে। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করলেন-
يُخادِعُونَ الله وَالَّذِينَ آمَنُوا وَمَا يَخْدَعُونَ إِلَّا أَنْفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ
َ
2. রফিক মুদি দোকানদার। সে মালে ভেজাল দিয়ে বিক্রি করে। ওজনে কম দেয়, পণ্যদ্রব্যের দোষত্রুটি গোপন রাখে। ভালো মালের সাথে মন্দ মাল মিশিয়ে বিক্রি করে। বিক্রির সময় মিথ্যা বলে, ধোঁকাবাজির মাধ্যমে গ্রাহকদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে লাভবান হয়। একদিন সে মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে শোনে, তার এ ধরনের কাজের জন্য পরকালীন জীবনে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
3. নাবিল আদনানের কাছে পাঁচ হাজার টাকা আমানত রাখে। কয়েক মাস পরে হাসান ঐ আমানতের টাকা ফেরত আনতে গেলে করিম বলে যে, সে টাকাগুলো খরচ করে ফেলেছে। সাত দিন পরে টাকা ফেরত দিবে বলে অঙ্গীকার করে। পরে নির্ধারিত তারিখে আদনান আবার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে দুজনের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি একজন আলেমের কাছে বললে তিনি নিম্নোক্ত হাদিসটি পাঠ করে শোনান।
آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلَاثَ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ
4. মা ভোরবেলা কুরআন তিলাওয়াত করেন। ইয়াসিন মায়ের পাশে বসে তা মনোযোগ দিয়ে শোনে। একদিন ইয়াসিন তার মাকে জিজ্ঞেস করে, 'মা, কুরআন আসলে কী?' মা বললেন, ‘কুরআন হলো সব জ্ঞান- বিজ্ঞানের উৎস। এ গ্রন্থে সব বিষয়ই আলোচিত হয়েছে। কোনোকিছুই বাদ দেওয়া হয়নি।'
5. জনাৰ সুমন ইউটিউবে জনাব 'ঢ' সাহেবের লেকচারের ভিত্তিও দেখছিলেন। তিনি 'ঢ' সাহেবকে মাযহাব সম্পর্কে একটি লেকচারে বলতে শুনলেন, আমি কোনো মাযহাবের অনুসারী নই। আপনারা যদি কুরআন ভালোভাবে পড়েন আর হাদিস জানেন তাহলে মাযহাবের কোনো প্রয়োজন নেই। এর সাথে সাথে মাযহাব না মানার অনেক যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। এ বক্তৃতা শুনে বাংলাদেশের একজন আলেম বললেন, সবার জন্য কুরআন-হাদিস বুঝে পড়া এবং এর তথ্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব নয়। তাই মাযহাব জানা জরুরি।