1. আফ্রিকা মহাদেশের একটি বৃহৎ রাষ্ট্র ‘ক’। রাষ্ট্রটি দু'টি অংশে বিভক্ত। উত্তর অংশে গড়ে ওঠা একটি রাজনৈতিক দল ঐ অঞ্চলের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে এবং দক্ষিণ অংশে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দলটি দক্ষিণ অংশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। এ কারণে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে দল দু'টি অঞ্চলভিত্তিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ।
2. আবির যে রাষ্ট্রের বাসিন্দা সেটি ১৯৪৭ সালে আলাদা দু'টি ভুখন্ড নিয়ে গঠিত হয়। রাষ্ট্রটি সৃষ্টির পর থেকে পশ্চিমাঞ্চলের কায়েমী স্বার্থবাদী মহল পূর্বাঞ্চলের প্রতি ক্রমাগত শোষণ, অবহেলা ও বৈষম্যমূলক নীতির আশ্রয় নেয় । যার ফলে পূর্বাঞ্চলের মানুষের মনে ক্রমাগত অসন্তোষের জন্ম নেয়। এ প্রেক্ষাপটে পূর্বাঞ্চলের এক জনপ্রিয় নেতা একটি দাবি পেশ করেন এবং ঘোষণা করেন উক্ত দাবিই হচ্ছে পূর্বাঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি ও মুক্তি সনদ ।
3. প্রশাসনিক সুবিধার্থে ‘ক’ অঞ্চলটি দুই ভাগে ভাগ করা হয়। অবশ্য এর পিছনে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণও বিদ্যমান ছিল ।
4. রফিকের দেশে রাষ্ট্রীয় কার্যাবলিকে কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রাদেশিক সরকার তার ওপর অর্পিত কার্যাবলি পরিচালনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন। সেখানে রাষ্ট্রীয় সকল ক্ষেত্রে সংবিধানের প্রাধান্য বিদ্যমান। দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভার উচ্চকক্ষ প্রদেশসমূহের প্রতিনিধিত্ব করে।
5. দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেও বাংলাদেশ মিয়ানমারের সাথে বঙ্গোপসাগরের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধ মিটাতে পারেনি। অবশেষে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এ, বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমুদ্রসীমা বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে যায়। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল ১৪ মার্চ ২০১২ তারিখে এক ঐতিহাসিক রায় প্রদান করে। তাতে বাংলাদেশের অধিকার অর্জিত হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আশা করেন যে, বিশ্বের যেকোনো দেশের সঙ্গেই শান্তিপূর্ণ উপায়ে যেকোনো বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব।