1. আসিফ ও নাফিস উমাইয়া খলিফাদের সম্পর্কে আলোচনা করছিল আসিফ বলল, উমাইয়া খলিফাদের মধ্যে 'আ” ছিলেন সবচেয়ে ধার্মিক তিনি উমাইয়া সাধু হিসেবেও পরিচিত। নাসিফ বলল, তিনি তাঁর ব্যতিক্রমী শাসননীতি ও শাসনব্যবস্থার বিভিন্ন সংস্কারের জন্যও সুপরিচিত। তিনি রাষ্ট্রের কর ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করেন । তিনি নবদীক্ষিত মুসলমান এবং মাওয়ালাদের ওপর থেকে অযাচিত কর বিলোপ করেন ।
2. রাকিব বুয়াইয়া বংশের ইতিহাস সম্পর্কে পড়ছিল। আব্বাসীয় বংশের দুর্বল শাসকদের সময়ে সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অংশে যে সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বংশের উত্থান ঘটে বুয়াইয়া বংশ তাঁর মধ্যে অন্যতম। বুয়াইয়া বংশের শাসকগণ এই আব্বাসীয় বংশের ইতিহাস তৈরিত্বে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। নিষ্ঠুরতা,, অযোগ্যতা, আত্মকলহ ও শিয়া-সুন্নি বিরোধ প্রভৃতি কারণে বুয়াইয়া বংশের পতন ঘটে।
3. ডেভিড ও জেমস দুই ভাই । তাদের পিতা উইলিয়াম মৃত্যুকালে জ্যেষ্ঠপুত্র ডেভিডকে উত্তরাধিকারী মনোনীত করে যান। কিন্তু ডেভিড ছিল আমোদপ্রিয়, বিলাসী ও অস্থিরমতি। অপরদিকে জেমস ধার্মিক, বিচক্ষণ, ন্যায়পরায়ণ, সত্যবাদী এবং মানবিক ছিলেন। চারিত্রিক গুণাবলির জন্য জেমস প্রজা সকলের নিকট অত্যন্ত প্রিয়পাত্র ছিলেন। ফলে দুই ভাইয়ের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব অনিবার্য হয়ে উঠে। ভ্রাতৃদ্বন্দ্বে জেমস ডেভিডকে পরাজিত করে ক্ষমতায় বসেন ।
4. প্রতিবছর ১০-ই মহররম তারিখে বিভিন্ন মুসলিম দেশে শোকমিছিল বের হয়। বাংলাদেশের পুরান ঢাকায় হোসনি দালান হতে সবচেয়ে বড় মিছিলটি বের হয় তারা বিভিন্ন শোকগাঁথা গায় এবং নিজেদের রক্তাক্ত করে । তারা ‘হায় হোসেন হায় হোসেন' বলে মাতম করে।
5. রহিম মিয়া বলা চলে জোরপূর্বক শীতলপুর গ্রামে তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। মানুষকে আকৃষ্ট করার অপূর্ব ক্ষমতা ছিল তাঁর। তিনি গ্রামের অনেক উন্নতি সাধন করেন। তিনি ছিলেন একজন বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ । তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর বংশীয় শাসন কায়েম রাখার জন্য মৃত্যুর পূর্বে তার পুত্র আকবরকে গ্রামের ক্ষমতার ভার দিয়ে যান ।