1. স্বামীহারা তাহেরা বিবির নদী তীরের ছোট্ট বাড়িটা বন্যায় তলিয়ে গেলে আরো অনেকের মতো রাস্তার পাশের বাঁধে নতুন আশ্রয় গড়ে তুলেছে। সরকারি ত্রাণ আর জমানো কিছু টাকা নিয়ে অনিশ্চিত জীবনের প্রহর গুনছে সে। চার ছেলে-মেয়ে নিয়ে জীবন এখন তার কাছে একটা যুদ্ধের মতো। এর মধ্যে দুর্বৃত্তের দল রাতের আঁধারে নিরীহ মানুষের শেষ সম্বলও লুটে নিচ্ছে। তাহেরা জানে এ যুদ্ধে তাকে জিততেই হবে। তাই সে রামদা হাতে প্রহরীর মতো জেগে থাকে।
2. পাকা মসজিদের পুকুর পাড়ে কয়েক ঘর দিনমজুরের মাটির ঘর। রাতে প্রচণ্ড কালবৈশাখী ঝড় আর প্রবল বৃষ্টির তাণ্ডবে তাদের ঘরের খড়ের চালগুলো উড়ে গেল। অগত্যা ওদের একজন সাহস করে মসজিদের ইমাম সাহেবকে তাদের দুরবস্থার কথা জানালে ইমাম সাহেব মসজিদ খুলে দেন। দিনমজুরের পরিবারেরা মসজিদের ভেতর আশ্রয় পেয়ে খুব খুশি হয়। ইমাম সাহেব তাদের সাথেই সে রাতটা জেগে কাটিয়ে দেন।
3. "রূপনারাণের কূলে জেগে উঠিলাম।
জানিলাম এ জগৎ স্বপ্ন নয়।
……………………………………………
সত্য যে কঠিন,
কঠিণেরে ভালোবাসিলাম,
সে কখনো করে না বঞ্চনা।"
4. "ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ
দুপুর বেলার অক্ত
বৃষ্টি ঝরে, বৃষ্টি কোথায়
বরকতেরই রক্ত।"
5. কে আসে সঙ্গে দেখ দেখ চেয়ে আজ
কারখানার রাজা, লাঙ্গলের নাবিক,
উত্তাল ঢেউয়ের শাসক উদ্যত বৈঠাহাতে মাল্লাদল,
এবং কামার কুমোর তাঁতি। এরাতো সবাই সেই
মেহনতের প্রভু, আনুগত্যে
শাণিত রক্তে ঢল হয়ে যায় বয়ে,
তোমার শিরাময় সারা পথে পথে।