1. সজল সাহেবের বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালানের অভিযোগ আছে। আর্থিক অবস্থা ভালো আর আত্মীয়স্বজন বেশী থাকলেও এলাকাবাসীর চোখে তিনি ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত নন, কিন্তু তার দৃঢ় বিশ্বাস টাকা এবং আত্মীয়স্বজনের প্রভাব খাটিয়ে সামনের ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে সে জিতবেই ।
2. মুনা তার বাবার সাথে একটি মুভি দেখছিল। সেখানে একদল মানুষকে কোমরে শিকল বেঁধে, চাবুক মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সে মুভি দেখে আরো জানতে পারলো একসময় গ্রিস ও রোমে যুদ্ধে পরাজিত লোকদের এভাবে নির্যাতন করে বাধ্যতামূলক পরিশ্রম করানো হতো এবং তাদের কোনো ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ছিল না। মুনার বাবা মন্তব্য করেন, বর্তমানে এ প্রথার প্রচলন না থাকলেও ভিন্নরূপে এর অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়।
3. ঘটনা-১ : ছোট দুটি সন্তান রেখে জলিল সাহেবের স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেন। অতঃপর দুই পরিবারের সম্মতিতে তিনি স্ত্রীর ছোট বোন পপিকে বিবাহ করেন।
ঘটনা-২ : সড়ক দুর্ঘটনায় রকিব সাহেবের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী তানিয়া পরিবারের সম্মতিক্রমে তার স্বামীর ছোট ভাইয়ের সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
4. ঘটনা-১: রশিদ সাহেবের মেয়েটি তার ছেলে অপেক্ষা পড়াশোনায় বেশি ভালো। কিন্তু মেয়েটির পড়াশোনার প্রতি অদম্য ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তিনি তার পড়াশোনা বন্ধ করে বিয়ে দিয়ে দেন। অথচ ছেলে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঘটনা-২: এক সময় পরিবারে খুব কর্তৃত্ব থাকলেও চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর রহিম সাহেব ও তার স্ত্রী ছেলেদের সংসারে অনেকটা অবহেলার পাত্র হিসেবেই বসবাস করছেন।
5. দৃশ্যকল্প-১ঃ পদ্মা নদীর তীরের কেতুপুর গ্রামের অধিকাংশ লোকজন পেশায় জেলে। গ্রামবাসীদের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান এবং যেকোনো ধরনের সমস্যা তারা একসাথে মোকাবিলা করে।
দৃশ্যকল্প-২ঃ রসুলপুর গ্রামে নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষ বাস করে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসারের ফলে গ্রামের জীবনধারায় বেশ পৰিৱর্তন দৃশ্যমান। সাধারণ রাজনৈতিক বিরোধ বাদ দিলে গ্রামের মানুষ বেশ শান্তিতেই বসবাস করছে।