1. পাশের গ্রামের জাত কালিমন্দিরের নতুন সাধুর আবিৰ্ভাৰ ৰূপনগরের শিবভত্তদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের অন্দরমহলের নারীরা নানান মানতে নিজ গ্রামের শিবমন্দির ছেড়ে কালিমন্দিরে যাওয়া শুরু করেছে। পুরোহিত প্রণবানন্দ ভাই গ্রামবাসীর ওপর প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত। গ্রামের কিছু উগ্র শিবভক্ত যুবকদের নিয়ে সে কালিভক্ত সাধুকে কীভাবে জন্ম করা যায় সেই ফন্দি আঁটতে থাকে।
2. পরপীড়া পরিহার, পূর্ণ পরিতোষ।
সদানন্দে পরিপূর্ণ স্বভাবের দোষঃনাহি চায় আপনার পরিবার সুখ। রাজ্যের কুশল কার্যে সদা হাস্যমুখ কেবল পরের দিতে প্রেম লাভ যাঁর
মানুষ তারেই বলি, মানুষ কে আর?
3. ধু-ধু জ্ব'লে ওঠ ধূমায়িত অগ্নি,
জাগো মাতা, কন্যা, বধূ, জায়া, ভগ্নী। পতিতোদ্ধারিণী স্বর্গ-স্খলিতা
জাহ্নবী সম বেগে জাগো পদ-দলিতা,
মেঘে আনো বালা বয়ের ব্যালা চির-বিজয়িনী জাগো জয়ন্তিকা
4. ১৫৯১ সালে গ্যালিলিও-এর আমলে রুনো ছিলেন প্রতিশ্রুতিশীল মেধাবী গুরু-দার্শনিক। ভেনিসের অভিজাত এক ব্যক্তি জিওভানি মচেনিগো শিক্ষা লাভের আশায় ব্রুনোকে আমন্ত্রণ করেন। মচেনিগোকে পড়াতে গিয়ে প্রসফাক্রমে যে কথাগুলো বলেছিলেন— তা মচেনিগোর অনুভূতিতে আঘাত হানে। তাই একসময় ভেনেটিয়ান ইনকুইজেশনের কাছে রুনোর বিরুদ্ধে নালিশ করেন। ব্রুনো গ্রেফতার হন, ভেনেটিয়ানদের বিচার অমীমাংসিত থাকায় তাঁকে রোমে প্রেরণ করা হয়। ছয় বছর কারাভোগের পরে ১৬০০ সালে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হয়; কঠিন আগুনে পুড়িয়ে মারা হবে তাঁকে। ১৬০০ সালের ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখে তাকে শেষবারের মতো- সুযোগ দেওয়া হয় আত্মপক্ষ সমর্থনের- দোষ স্বীকারের। বিপন্ন, বিপর্যন্ত, অপদস্থ ব্রুনো তখন সেই অবিস্মরণীয় কথাটি বলেছিলেন- "Perhaps your fear in Passing this sentence upon me is grater than mine in accepting it.'
বদ্ধভূমিতে নেওয়ার সময় দুপাশের মানুষের প্রতি তার সত্য বলার স্পৃহা দেখে দুই ঠোঁটে স্পাইক দিয়ে মুখ বন্ধ দেওয়া হয়। শাসকরা ভেবেছিল, তাঁকে হত্যা করলেই তাঁর আদর্শ শেষ হয়ে যাবে। আসলে হয়েছে উলটো।
5. মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম
মোরা ঝরনার মতো চঞ্চল মোরা বিধাতার মতো নিৰ্ভয়
মোরা প্রকৃতির মতো সচ্ছল মোরা আকাশের মতো বাধাহীন মোরা মরুসঞ্চারী বেদুইন।