1. মিজান আহমেদ বাংলাদেশের অ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তিনি কার্য পরিচালনা করেন। কর্মীদের বিভিন্ন অসুবিধার কথা তিনি শোনেন এবং সমাধানের চেষ্টা করেন। নীতি নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে মতামত দেওয়ার সুযোগ পেয়ে কর্মীরা ও ব্যবস্থাপনার প্রতি সন্তুষ্ট। কর্মী ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের মানের কারণে প্রতিষ্ঠানটি আই এস ও সনদ লাভ করে কিন্তু সম্প্রীতি কিছু প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের ইন্ধনে কিছু শ্রমিক উক্ত প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে।
2. জনাব আলম ঢাকার মিরপুরে বেনারসি পল্লীতে শাড়ির ব্যবসা করেন। তিনি প্রতিষ্ঠান শুরু থেকে একই পরিকল্পনা অনুসরণ করে আসছেন। উৎপাদন এবং পণ্যের মানে তিনি কোন পরিবর্তন আনেন নি। এতে সময় ও শ্রম দুটিই বাঁচে। কিন্তু সম্প্রীতি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তিনি ভোক্তা আকর্ষণের নতুন পরিকল্পনা নেন।
3. “স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস” একটি বৃহৎ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। জনাব রায়হান অন্যতম পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য নির্ধারণ ও নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত। অপরদিকে জনাব রাজিন প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত পরিকল্পনা ও নীতি কৌশল মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করে থাকেন।
4. মি. সায়েম একটি জুস কোং এর ক্রয় ব্যবস্থাপক। প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও কর্মকুশলতার প্রতি সম্মান দেখান। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কর্মকর্তাদের দেওয়া আছে।দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় ক্রয় ব্যবস্থাপক মি. সায়েম বিদেশ থেকে দশ টন জুস আমদানি করেন কিন্তু আমদানির এক মাসের মধ্যে শীত এসে যাওয়ায় জুসের বিক্রি কমে যায় । এতে ওই বছর কোম্পানি লোকসানের সম্মুখীন হন।
5. জনাব মিজান নতুন একটি বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠান করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।তার প্রতিষ্ঠানে ঔষধ, প্রসাধন ও খাদ্য সামগ্রী উৎপাদিত হবে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিটি দ্রব্যের জন্য পৃথক ব্যবস্থাপক এবং প্রতিটি কাজের জন্য পৃথক ব্যবস্থাপক নিয়োগের চিন্তা করেছেন। তিনি সংগঠন কাঠামো তৈরিতে আরো বিশেষভাবে চিন্তা করছেন যে , প্রতিজন নির্বাহের অধীনে জন্য অদস্তনদের সংখ্যা যেন যথাযথ হয়। এর ফলে তিনি সাফল্য লাভের আশা করছেন।