1.
মামুন একজন রিকশাচালক। দীর্ঘতম দিন ও প্রচুর গরমের মধ্যে সে আল্লাহর একটি হুকুম পালন করতে সুবহে সাদিক হতে রাত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত আছে। সে জানে এটি একমাত্র ইবাদাত, যার পুরস্কার আল্লাহ নিজ হাতে দিবেন। সাকিব একটি বই পড়ে জানতে পারল যে, রাসুল (সা.)-এর পূর্বেকার যুগে ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত বা মুস্তাহাব নামে কোনো পরিভাষা ছিল না। যদিও কুরআন-হাদিসের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিল শব্দগুলো। পরবর্তীতে ইসলামি সাম্রাজ্যের বিস্তার লাভ করে। তখন শরিয়ত পালন অনেকের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। হিজরি দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় শতাব্দীর মধ্যে কিছু মুজতাহিদ আলেমগণ কুরআন-হাদিসের আলোকে এবং কিয়াস ও ইজমার ভিত্তিতে কিছু ফতোয়া বা সিদ্ধান্ত দেন। তা একটি স্বতন্ত্র শাস্ত্রে পরিণত হয় । ইসলামি শরিয়ত পালনও সহজ হয় ।
2.
মাসুদ একজন খুচরা আলুর ব্যবসায়ী। অন্যরা ভালো ভালো আলু সাজিয়ে উপস্থাপন করলেও তিনি ছোট-বড় আলু মিশ্রিত অবস্থায় সামনে রেখেছেন। মেপে দেওয়ার সময় খুব সতর্কতার সাথে মাপেন যেন ওজনে কম না হয়। ক্রেতাদের সাথে সুন্দর আচরণ করেন। ক্রেতার ভিড়ও বেশি। মাহতাব সাহেব রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পথের ওপর পড়ে থাকা আমের ছোলা নিজ হাতে তুলে বাইরে ফেলে দিলেন। হঠাৎ একটি সিনেমার অশ্লীল পোস্টার দেখে মাহতাব সাহেব লজ্জায় দৃষ্টি নিচু করে দ্রুত চলে গেলেন।
3.
দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাফিন ক্লাস শেষে তার সহপাঠী ফেরদৌসকে বলল, পবিত্র কুরআনের অনেক সূরায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইহুদি ও মুনাফিকদের নানা চক্রান্তের বিষয় যেমন উল্লেখ রয়েছে, তেমনি শান্তি প্রতিষ্ঠায় পারস্পরিক লেনদেন, ব্যবসায় বাণিজ্য, বিচারব্যবস্থা দণ্ডবিধি ইত্যাদি বিষয়ের বর্ণনা করা হয়েছে। তখন ফেরদৌস বলল, কখনো এক বা একাধিক আয়াত, কখনো একটি সূরা অবতীর্ণ হয়ে কুরআনের অবতরণ পূর্ণতা লাভ করেছে। এভাবে পবিত্র কুরআন মানবজাতির নিকট সহজবোধ্য একটি ঐশীগ্রন্থ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
4.
কোভিড-১৯-এর প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ-বিদেশিদের সে দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার কারণে ধনাঢ্য আহসান সাহেব একটি মৌলিক ইবাদাত পালনে ব্যর্থ হন । অন্যদিকে, তার বন্ধু আফিফ একটি ইবাদাত পালনের জন্য সম্পদের হিসাব করে একটি নির্দিষ্ট অংশ দ্বারা রিকশা, ভ্যান, সেলাই মেশিন ইত্যাদি ক্রয় করে এলাকার অভাবী মানুষের মধ্যে বিতরণ করেন ।
5.
ভরদুপুর। রাশেদ সাহেব অফিসে বসে পরিবারের কথা ভাবছিলেন দশ সদদ্যের সংসার। আয় যা করেন কোনোমতে মাস চলে। দুশ্চিন্তা মেয়ের বিবাহ নিয়ে। এমন সময় স্থানীয় বহু জমিজমার এক মালিক জমির খাজনা দিতে আসলেন। কাগজপত্রে বেশকিছু অসুবিধা থাকায় লোকটি পঞ্চাশ হাজার টাকার খাজনা দেওয়ার জন্য বিশ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে চাইলেন। রাশেদ সাহেব বিনয়ের সাথে তা নিতে অস্বীকার করলেন। বললেন, এ কাজ আমার দায়িত্ব। আপনি বৈধ কাগজে নিয়ে আসুন, আমি দাখিলা কেটে দিব। আমার কাজের বিনিময়ে সরকার যে বেতন দিচ্ছে তাতেই আমি খুশি। সাথি তার বান্ধবী লিজার সাথে দেখা হলে খুব লজ্জাজনক ভাষায় কথা বলল। । অন্য আরেক বান্ধবীর সাথেও অনুরূপ আচরণ প্রকাশ করে। একারণে বান্ধবীরা সাথীকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেছে। ফলে ধীরে ধীরে সাথি একা হয়ে পড়েছে । এতে সে মোটেও বিচলিত নয় ।