1. সাদেক সাহেব একজন বড় ব্যবসায়ী। তিনি নিয়মিত সালাত ও সাওম পালন করেন। তবে অন্যান্য বিধান আদায় করার ব্যাপারে উদাসীন একদিন তারা কয়েক বন্ধু মিলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলো। তখন তার বন্ধু হাসান সাহেব তাকে বলেন, বন্ধু, তোমার সম্পদে গরিবদের অধিকার রয়েছে যা দিয়ে দেওয়া উচিৎ। যা দিলে সম্পদে বরকত হয়। আরেক বন্ধু বারেক সাহেব তাকে বললেন, শুধু তাই নয়, আল্লাহ তোমাকে অনেক সম্পদ দিয়েছেন। তার শুকরিয়া হিসাবে তোমাকে আল্লাহর ঘর ও রাসুলের কবর যিয়ারত করে আসা উচিৎ। যা তোমার অতীতের সকল গুনাহ মোচন করে দিবে।
2. রহমান সাহেব বাজার থেকে দু'কেজি গোস্ত কিনে তার এক পরিচিত মুদি দোকানে মেপে দেখলেন প্রায় ২০০ গ্রাম কম। তখন তিনি বললেন, এর হিসাব অবশ্যই অল্লাহর কাছে দিতে হবে। আফসোস! সবাই যদি নিজ নিজ কাজ ঠিক মতো করতো। একথা শুনে মুদি দোকানদার বললেন, ভালোভাবে ব্যবাস না করলে দুনিয়া ও আখেরাত দুটোই নষ্ট আর ভালোভাবে করলে উভয় জগৎ সুখের ও শান্তির হবে।
3. জনাব জ, ল এবং ফ তিন ভাই। জ সদা সত্য কথা বলে এবং ইসলামি বিধান অনুসারে জীবনযাপন করে। অপরদিকে ফ অসত্য কথা বলে এবং ইসলাম পরিপন্থি কাজে লিপ্ত। ল জ এর সাথে থাকলে নামাজ-রোজা পালন করে। আর ফ এর সাথে থাকলে বলে নামাজ-রোজার প্রয়োজন নেই।
4. আবির ও করিম ছোটবেলার বন্ধু। কলেজে উঠার পর আবির মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে এবং সে অসৎ ছেলেদের সাথে উঠাবসা শুরু করে। করিম আবিরকে অনেক বুঝানোর পরেও সে তার কথা শুনতে চায়না। বিষয়টি করিমের বাবা জানতে পেরে তিনি করিমকে আবিরের সাথে মিশতে নিষেধ করেছেন। আজকাল করিম অবসর সময়ে বাবার দোকানে বসা শুরু করেছে। আবির এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করলে, করিম বলল- 'হালাল রুজি (জীবিকা) অন্বেষন করা ফরজের পরও একটি ফরজ'।
5. উমাইয়া খিলাফতের সময়েই ফিকহ শাস্ত্রকে সুবিন্যস্ত করার জন্য কাজ শুরু করেন এক মহান ব্যক্তি, যাকে ইমাম আযম বলা হয়। খলিফা মনসুর তাকে মুসলিম বিশ্বের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব দিতে চাইলে তিনি স্ববিনয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। খলিফার সাথে তার কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য হয়। এক পর্যায়ে খলিফা তাকে কারারুদ্ধ করেন, তাকে নির্যাতন করেন এবং বিষপান করিয়ে হত্যা করেন।