1. জনাব আলী আজম দয়ালু, সদাশয় ও প্রজাবৎসেল খলিফা। তিনি চারিত্রিক দিক দিয়ে ছিলেন সরল, অনাড়ম্বর, ধর্মানুরাগী ও কর্তব্যপরায়ণ। তিনি খুলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ ও ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী ছিলেন। কর ব্যবস্থার সংস্কার করে তিনি শিল্প ও ব্যবসা- বাণিজ্যের উন্নতি সাধন করেন। তিনি ভিন্ন মতাবলম্বীদের শাসনকার্বে নিয়োগ করে এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। তার বৈদেশিক নীতি ছিল। শান্তি-শৃঙ্খলা ও সংহতি বিধান।
2. সার্কভুক্ত দেশগুলোর মহিলা পরিষদের একটি অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ক্রিস্টিন মেডোনা অধিকার রক্ষায় নারী আন্দোলনের কার্যকর ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশে একটি সময় ছিল যখন কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়া হতো। তাদের কোনো অধিকার ছিল না। একজন পুরুষ একই সাথে একাধিক স্ত্রী রাখতে পারত। তারা `জোর যার মুল্লুক তার' এ নীতিতে বিশ্বাসী ছিল।
3. জনাব রাশেদ মিয়া আলমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান। প্রজাসাধারণের অবস্থা স্বয়ং অবগত হওয়ার জন্য তিনি ছদ্মবেশে গ্রাম। ভ্রমণ করতেন। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ছাড়াও প্রতি রাতে একশত রাকাত নফল নামাজ আদায় করতেন। জনসাধারণের উন্নতি এবং স্বার্থ সংরক্ষণে তার জেলার কোনো চেয়ারম্যানই তার মতো যত্নবান ছিলেন না।
4. পিতামহের মৃত্যুর পর আব্দুর রহিম মাত্র ১২ বছর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করে রাজ্যের সেচ প্রকল্প ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করেন। ফলে সাম্রাজ্যের কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের যথেষ্ট উন্নতি ঘটে । তার সময়ে কমপক্ষে রাজ্যে ১,০০০ জাহাজ এবং শুধু রাজধানীতে, ১৩,০০০ তাঁত শিল্প-কারখানা ছিল। তিনি বিভিন্ন দেশের সৈন্যদের সমন্বয়ে একটি বিশাল ও শক্তিশালী সৈন্যবাহিনী গড়ে তোলেন, যা স্লাভ বাহিনী নামে পরিচিত ছিল।
5. জনাব আলী আশরাফ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে রাজ্যে শান্তি- শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্যে আগের শাসকের নিযুক্ত প্রাদেশিক গভর্নরদের বরখাস্ত করেন। গভর্নর মুহিব ছাড়া সব গভর্নর তার নির্দেশনার প্রতি সম্মান দেখান। তাছাড়া মুহিব সাহেব আগের শাসনকর্তার সময়ে যেসব। সরকারি সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন নতুন শাসনকর্তা তা রাজকোষে ফিরিয়ে নিলে উক্ত শাসনকর্তা ও গভর্নর মুহিবের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।