1.
জনাব ফাহিম একটি উৎপাদনশীল প্রকল্পের একজন সুপারভাইজার। কাজের জন্য তাকে একাধিক ব্যবস্থাপকের সাথে জবাবদিহি করতে হয়। একই সময়ে তাকে দুইজন ব্যবস্থাপকের কাজে জবাবদিহির কারণে তার কাজের গতিশীলতা ব্যাহত হয়। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর কথা ভাবছেন ।
2.
মি. সাইফুর রহমান তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ফলে কাজের পরিবেশ উন্নত হয়েছে। কিন্তু সুষ্ঠু তদারকির অভাবে বিভিন্ন বিভাগের কাজের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থা মোকাবিলায় তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন।
3.
মি. জামান একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি বছরের শুরুতে সারা বছরের উৎপাদন ও বিক্রয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থাপনার যাবতীয় কাজগুলো সম্পাদন করেন এবং কোনো বিচ্যুতির কারণ নির্ধারণ করে করণীয় ঠিক করেন এবং আশানুরূপ ফল পেয়ে থাকেন।
4.
জনাব সাদিক ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি চিন্তা না করে সিলেট শহরে একটি জুস কারখানা স্থাপন করেন। সিলেটে আম উৎপন্ন হয় না, জুস তৈরির কাঁচামাল রাজশাহী অঞ্চল থেকে এনে জুস উৎপাদনে ব্যাপক খরচ পড়ায় তিনি লোকসানের সম্মুখীন হন। তাই তিনি ভবিষ্যতে কারখানটি রাজশাহীতে স্থানান্তরের জন্য সার্বিক পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনেন। আশা করছেন এবার তিনি সফল হবেন।
5.
X ট্রেডার্সের এমডি মি. মোমিন শুধু প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু লক্ষ্য বাস্তবায়নে তিনি কোনো ভূমিকা রাখেন না। সব কিছু অধস্তনদের ওপর ছেড়ে দেয়। ফলে প্রতিষ্ঠানটি তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারে না। পক্ষান্তরে, Y' ট্রেডার্সের এমডি মি. নিখিল সকল ক্ষমতা নিজে রেখে দেয়। সিদ্ধান্ত গ্রহণে অধস্তনদের সাথে পরামর্শ করেন না। যেভাবেই হোক তিনি কর্মীদের দিয়ে কাজ আদায় করেন। বিগত দুই বছরে ফল ভালো হলেও বর্তমানে কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধছে।