1. হযরত ওমর (রা)-এর খিলাফত ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা করে। তিনি একদিকে যেমন শ্রেষ্ঠ ও সুযোগ্য বিজেতা, তেমনি একজন দূরদর্শী প্রশাসক হিসেবে অমরত্ব লাভ করেন। তার রাজস্ব, সামরিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত উৎকৃষ্ট। গণতান্ত্রিক শাসন, আরব জাতীয়তাবাদ, অমুসলমানদের প্রতি নীতি ইত্যাদি তার শাসনের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল ।
2. রাজা আলমগীর তার সাম্রাজ্যে ব্যাপক সংস্কার সাধন করেন। কেন্দ্রীয় টাকশাল স্থাপন করে নির্দিষ্ট মানের মুদ্রা চালু করেন। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে উপকৃত হয়। ব্যবসা-বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটে। তিনি প্রচলিত ডাক ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ করেন। সাম্রাজ্যের সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য সুরম্য প্রাসাদ, নান্দনিক স্মৃতিফলক প্রভৃতি নির্মাণ করেন, যা সকলের দৃষ্টি কাড়ে। এভাবে স্থাপত্যশিল্পের বিকাশে তিনি অনবদ্য ভূমিকা রাখেন ।
3. তিনদিকে সমুদ্রবেষ্টিত সিঙ্গাপুর দ্বীপটি একটি অনুর্বর অঞ্চল। এক সময় শহরে কিছু লোকজন ব্যবসা-বাণিজ্য করলেও গ্রামের লোকদের পশুপালন বা মাছ শিকার ছাড়া অন্য কোনো কাজের উপায় ছিল না। জীবন জীবিকার জন্য তারা চুরি, ডাকাতি, প্রতারণা ও লুটতরাজ করতে বাধ্য হতো ।
4. ফ্রান্সে মেরোভিঞ্জিয়ান রাজাদের শাসনামলে রাজাদের চেয়ে চার্লস মাটেলের বেশি মর্যাদা ছিল। রাজারা ছিলেন মার্টেলের হাতের পুতুল। অথচ চার্লস মার্টেল রাজবংশের কেউ ছিলেন না। রাজারা মন্ত্রিপরিষদের সর্বাত্মক প্রভাব খর্ব করার জন্য মার্টেলকে ডেকে নিয়ে এসেছিলেন। আর মার্টেল নিজেকে রাজাদের প্রভুতে পরিণত করেছিলেন।
5. সিলেটে একজন সুফিসাধক ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে এসে প্রচণ্ড বাধার সম্মুখীন হলেন। এখানে মারামারি নিষিদ্ধ হলেও প্রতিপক্ষের সংলাপের প্রস্তাবে সায় দিলেন । শুরুতে অচলাবস্থা থাকলেও উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হয়। আগামী কয়েক বছরের জন্য উভয় পক্ষে শান্তিচুক্তি সমাধান হয় ।