1.
তোহা ফার্মাসিউটিক্যাল লি. একটি স্বনামধন্য ওষুধ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ কিছু লোকের ওষুধের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদন করে আসছে। ওষুধের নিরাপদ ও অধিতর কার্যকর হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদনের ক্ষেত্রে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। গুনাগুন মানসম্পন্ন কার্যকর ঔষধ তৈরির কারণে প্রতিষ্ঠানটির ডাক্তার ও ফার্মাসিস্টদের কাছে আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়। এতে প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়ের মধ্যে সাফল্য অর্জনের সক্ষম হয়।
2.
যমুনা ফ্যাশন আশুলিয়ার একটি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা।কিছুদিন পূর্বে একটি বিদেশী ক্রেতার কাছ থেকে একটি বড় অর্ডার পান। অর্ডার অনুযায়ী তৈরি করার পর ত্রুটি চিহ্নিত হওয়ায় অনেক পণ্য বাতিল করে নতুন করে পণ্য উৎপাদন করতে হয়। এতে প্রতিষ্ঠানকে বড় অংকের লোকজন বহন করতে হয়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি সময়মতো পূর্ণ সরবরাহ করতে না পারায় ক্রেতা তার আনুগত্য প্রত্যাহার করে। পরবর্তীতে অন্য কোম্পানির পণ্য ক্রয় করবে বলে জানিয়ে দেন।
3.
জনাব আসাদ যশোরে গদখালীতে ২০ বিঘা জমিতে ফুল চাষ শুরু করেন। এখানে উৎপাদিত ফুল ঢাকার শাহবাগে বিভিন্ন ফুলের দোকানে নিয়মিত সরবরাহ করা হয়। চলতি বছর ফুলের উৎপাদন ভালো হওয়া সত্ত্বেও নিজের পরিবহন ও পর্যাপ্ত সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে অনেক ফুল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তিনি আশানুরূপ মুনাফা অর্জনে ব্যর্থ হন। এ পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সংরক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপনের উদ্দেশ্যে তিনি আরও তিনজন বন্ধুকে চুক্তি আইনের অধীনে ব্যবসায় নিযুক্তি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তিনি ভাবছেন যে সকলের মধ্যে লাভ লোকসান সমতার ভিত্তিতে বর্ণন করবেন।
4.
হাসান সাহেবের কুয়াকাটা মাছঘর নামে একটি শুটকি উৎপাদনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি জেলেদের নিকট থেকে মাছ ক্রয় করেন এবং ৬ জন শ্রমিকের সহায়তায় সূর্যের তাপে শুকিয়ে শুটকি তৈরি করেন। সম্প্রীতি বিদেশে তার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত শক্তির চাহিদা সৃষ্টি হয়। এই বর্ধিত চাহিদা মেটানোর জন্য তিনি প্রতিষ্ঠান সম্প্রসারণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু তার সঞ্চিত অর্থ পর্যাপ্ত নয়। তাই তিনি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঋণ নেওয়ার চিন্তা করছে।
5.
কক্সবাজারে অবস্থিত হোটেল "পৌষালী" দেশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে অতি পরিচিত নাম। সৈকত সন্নিকটে হাওয়ায় এটির গুরুত্ব আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রীতি জার্মানি থেকে পাঁচজন পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বেড়াতে এসে হোটেলে ওঠে। তারা হোটেল কর্তৃপক্ষকে তাদের পছন্দনীয় বিষয় ধরনের খাবার অর্ডার দেন।হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের চাহিদা ও পছন্দ মোতাবেক সেবা প্রদান করেন। এর মাধ্যমে ভোক্তা সন্তুষ্টি অর্জিত হয় এবং উক্ত পর্যটক এরা দেশে ফিরে অন্যান্য ভ্রমণ পিপাসু মানুষদেরকে উক্ত হোটেলে ওঠার সুপারিশ করবে বলে অঙ্গীকার করে।