1. জসিম সাহেব প্রতিমাসে এমন একটি ব্যাংকে কিছু টাকা সঞ্চয় করেন, যে ব্যাংক সুদের পরিবর্তে ব্যবসাকে উৎসাহিত করে। লাভ-লোকসানের দায়ভার গ্রহণের শর্তে আমানত গ্রহণ ও বিনিয়োগ করে এবং অবৈধ ও ক্ষতিকর পণ্যের ব্যবসাকে পরিহার করার নীতি অনুসরণ করে। অপরদিকে জনাব জাবের একজন কৃষক। এ বছর তার জমিতে ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তাই তিনি ফসলের দশ ভাগের এক ভাগ গরিবদের জন্য সরকারি তহবিলে জমা দেন।
2. জনাব এলাম উদ্দীন উচ্চশিক্ষিত হলেও ইসলাম সম্পর্কে বিরূপ ধারণা পোষণ করেন। তিনি জিহাদকে সন্ত্রাসবাদ মনে করেন। সুযোগ বুঝে আলেমদের খাটো করে দেখেন। বিষয়টি অবগত হয়ে ইমাম সাহেব জুমার খুতবায় বললেন, “জিহাদ ও সন্ত্রাস পরস্পরের বিপরীত। সন্ত্রাস একটি সামাজিক ব্যাধি। আর জিহাদ হলো সন্ত্রাস প্রতিরোধের কার্যকর পদক্ষেপ।
3. জনাব মুকুল চাতিডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তার আচার-আচরণ ও ইনসাফের কারণে বিগত চারবার তিনি একই পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার স্ত্রী নাছিমা একদিন চেয়ারম্যানের সাথে আলাপচারিতায় জানান, পাশের বাড়ির কামরুলের বোনের আচরণ ও চলাফেরা ভালো নয়। হঠাৎ একদিন চেয়ারম্যানের নিকট বিচার আসল, তার প্রতিবেশী কামাল সাহেব ফরমালিন মিশিয়ে মাছ বিক্রি করে। তখন চেয়ারম্যান বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।
4. জনাব বারিক মৃধা সমাজ সচেতন মানুষ। তিনি পশুপাখি ও জীবজন্তুর প্রতি সদয় আচরণ করেন। নিয়মিত বৃক্ষ রোপণ করেন। অন্যদিকে জনাব খোদা বকস একজন শিল্পপতি। তিনি আবাসিক এলাকায় বৃহৎ শিল্প গড়ে তুলেছেন । তাছাড়া গাছ কেটে শিল্পের কাঁচামাল যোগান দেন।
5. মধ্য এশিয়ার একটি অঞ্চলে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও ভাষার লোকজন একত্রে বসবাস করে। তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংরক্ষণ, বিরোধ মীমাংসা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতকল্পে একত্রে কাজ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করে। কিন্তু নামাজের নিয়মকানুন সম্পর্কে দুটি দলের মধ্যকার বিরোধ সবাইকে ভাবিয়ে তোলে। তখন কমিটি উক্ত বিরোধ মীমাংসার জন্য বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব জনাব হাসিম উদ্দিনকে আমন্ত্রণ জানায়। তিনি প্রাঞ্জল ভাষা ও জ্ঞানগর্ভ বক্তব্যের জন্য বিখ্যাত। তাছাড়া তিনি ইলম ও আমলের পূর্ণ সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করেন। তার সম্পর্কে কমিটির অন্যতম সদস্য জনাব মাহতাব চৌধুরী বলেন, ‘জনাব হাসিম উদ্দিন একজন সার্থক দীন প্রচারক।'