1.
জনাব ইকবাল সিলেটে থাকেন। তিনি শ্রমিকদের সহজলভ্যতার কারণে পঞ্চগড়ে জমি কিনে পাঁচটি চা বাগান প্রতিষ্ঠা করেন। স্থানীয় পদ্ধতি ও পুরনো প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে তার চা এর মান তত ভাল হয় না। এতে মুনাফা ও কম হয়। তার এক বন্ধুর পরামর্শে তিনি আধুনিক মেশিন সংস্থাপনার মাধ্যমে চা এর গুণগত মান বৃদ্ধি করে। বর্তমানে তিনি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছেন।
2.
সাইফুল সাহেবের নিজের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান "মিলেনিয়াম ফার্নিচার লিমিটেড"।১৫ বছর আগে তিনি একাই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করেছিল। পরে আরো ছয় জন ব্যক্তির সমন্বয়ে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রতিষ্ঠানটিকে কোম্পানিতে রূপান্তর করেন। জনগণের নিকট শেয়ার বিক্রি করে সংগ্রহীত মূলধনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম অনেক বিস্তৃত হয়েছে। উদ্যোক্তাদের মধ্যে সাইফুল সাহেব ছাড়া বাকি সবাই শেয়ার বিক্রি করে চলে গেছেন।
3.
জনাব রায়হান, রিহান ও রিয়াদ মৌখিক চুক্তির ভিত্তিতে একটি অংশীদারী প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। তিনজনের মূলধনের পরিমাণ সমান। তারা সমান হারে মুনাফা ভোগ করবে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী জনাব রিয়াদ শুধু মূলধনের সমপরিমাণ দায় বহন করবে। সম্প্রীতি জনাব রব্বানী নামে একজন দেনাদার প্রতিষ্ঠানে ২ লক্ষ টাকা টাকা পরিশোধের গড়িমসি করছে। এজন্য অংশীদারগণ পাওনা আদায়ের জন্য আদালতের আশ্রয় নেওয়ার কথা ভাবছেন।
4.
সোহেল এমবিএ পাস করার পর তার ৫ বন্ধুকে নিয়ে "রাজশাহী টেক্সটাইল" নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। প্রথম অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি মোট মূলধনের পরিমান ছিল ১০ কোটি টাকা। তাদের সঠিক পরিচালনার ফলে প্রতিষ্ঠানটি দ্রুতই সফলতা লাভ করে। সোহেল ও তার বন্ধুরা প্রতিষ্ঠানটির সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেন। তারা নিজেরা প্রতিষ্ঠানে আর অর্থ দিতে পারবে না এবং সদস্য সংখ্যা বাড়াতে চান না। এমতাবস্থায় তাদের মূলধনেরও প্রয়োজন।
5.
জনাব মতিন একজন সবজি ব্যবসায়ী তিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যে মৌসুমের সবজি বেশি উৎপাদিত হয় তা সংগ্রহ করেন এবং সিলেটের বাজারে বিক্রয় করেন। এতে বেশ মুনাফা হয়। কিন্তু একবার খারাপ আবহাওয়ার কারণে তার সংগ্রহকৃত সবজির অধিকাংশ পচে যায়। তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং কিভাবে এ ধরনের বিপর্যয় এড়ানো যায় তা নিয়ে ভাবনা শুরু করেন।