1. জনাব শাকির ও নাহিদ দুজন ব্যবসায়, বাণিজ্যের সাথে জড়িত। শাকির সততার সাথে বাণিজ্য করেন। তিনি অদৃশ্যে বিশ্বাস করেন। সালাত কায়েম করেন, যাকাত আদায় করেন ও দান-সদকা করেন। তিনি দৃঢ়ভাবে আখিরাতে অনন্ত জীবনেও বিশ্বাস করেন। তবে জনাব নাহিদ ওজনে কম দেন। মালে ভেজাল মেশান। এলাকায় দুষ্টু লোকদের হাতে রেখে নেতা হতে চান ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন ।
2. ইসলামি আইনকানুন ও ইবাদাত সম্পর্কিত মৌলিক বিষয়সমূহ ব্যতীত . সেগুলোর শাখা-প্রশাখাতে মুসলিম আইন বিশারদগণের বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায়। এরকম একজন আইনবিশারদ ৮০ হিজরি সনে কুফায় জন্ম গ্রহণ করেন। সতেরো বছর বয়সে বিশেষভাবে বিদ্যার্জনে মনোনিবেশ করেন। তিনি হাম্মাদের নিকট ১০ বছর যাবৎ মাস'আলা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেন । খলিফা মনসুর তাঁকে কারাগারে বন্দি করেন এবং সেখানেই ১৫০ হিজরিতে মৃত্যুবরণ করেন।
3.
প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পুরাতন ডিসি কোর্ট প্রাঙ্গণে বৃক্ষমেলা শুর হয় । জনাব হারুন সাহেব উক্ত মেলা থেকে পাঁচ হাজার ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ ক্রয় করে নিজ গ্রামের রাস্তার দুই পাশে সেগুলো রোপণ করেন। অন্যদিকে, তার বন্ধু জনাব মামুন সাহেব চিকন চালের সাথে মোটা চাল মিশিয়ে অধিক মুনাফা অর্জন করেন। বিষয়টি জেনে ইমাম সাহেব বলেন, “এজন্য তাকে পরকালে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।”
4. তালহা একটি ইবাদাত পালনের জন্য প্রতিদিন পাঁচবার মসজিদে গমন করেন। ইবাদাতটি তাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সহযোগিতা করে। পাপকাজ থেকে বিরত রাখে। অন্যদিকে, রাহিক ওয়াজ শুনতে গিয়ে জানতে পারল ৮০ হিজরিতে একজন ইমাম কুফায় জন্মগ্রহণ করেন । যার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ফিক্হশাস্ত্র গড়ে ওঠে। ইমাম আবু ইউসুফ, ইমাম মুহাম্মদসহ বহু মুজতাহিদ আলেম তাঁর ছাত্র ছিলেন।