1. শিক্ষানুরাগী আলী হায়দার অবসর গ্রহণের পর গড়ে তোলেন আলোকবর্তিকা নামক সেবা সংগঠন। যার মাধ্যমে বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজের পাশাপাশি পথশিশুদের শিক্ষাদান, দুর্নীতি-বিরোধী প্রচারণা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ বিষয়ক নানা সেমিনারের আয়োজন করেন। বেকারদের কর্মক্ষম করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিজ জমানো টাকায় 'আলী হায়দার টেকনিক্যাল কলেজ' স্থাপন করেন। উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে বেকার যুবক-যুবতীরা প্রশিক্ষিত হয়ে দেশ-বিদেশে চাকরি করে এলাকার সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে।
2. তিস্তাপাড়ে আজকাল নাকি ফসলি জমির অভাব। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী জমিতে মেশিন বসিয়ে উত্তোলন করে নেয় ভূগর্ভস্থ পাথর। এখানে ফসলের তুলনায় পাথরের মূল্য বেশি। তাই দিনে দিনে মেশিনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় আর পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এলাকার সচেতন জনগোষ্ঠী দেশের স্বার্থে এই কাজে বাধা দিলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাদের বিরোধ হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এখানে অনধিক তিনটি মেশিন বসানোর অনুমতি দিলেও বাস্তবে শতাধিক মেশিনে পাথর উত্তোলন করে ব্যবসায়ীরা। এতে একদিকে খাদ্য উৎপাদন যেমন ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। এইরকম চলতে থাকলে একদিন হয়তো শোনা যাবে মাটির নিচে তলিয়ে গেছে তিস্তাপাড়ের বিশাল জনপদ।
3. "তরুণ নামের জয়-মকুট শুধু তাহারই যাহার শক্তি অপরিমাণ, গতিবেগ ঝঞ্ঝার ন্যায়, তেজ নির্মেঘ আষাঢ় মধ্যাহ্নের মার্তণ্ডপ্রায়, বিপুল যাহার আশা, ক্লান্তিহীন যাহার উৎসাহ, বিরাট যাহার ঔদার্য, অফুরন্ত যাহার প্রাণ, অটল যাহার সাধনা, মৃত্যু যাহার মুঠিতলে।"
4. ঈশিতা বাংলা বিভাগের উচ্ছল প্রাণবন্ত মেয়ে। আড্ডার আসরকে সে মাতিয়ে রাখে। বাংলা বিভাগ প্রতিবারের মতো এবারও বসন্ত উৎসব পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। ঈশিতা বরাবরই এই ধরনের আয়োজনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। উৎসবের দিন রূপময় প্রকৃতির নান্দনিকতা ও উৎসব প্রাঙ্গনের বর্ণিল বিন্যাস একাকার হয়ে অভূতপূর্ব আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। অথচ এই কোলাহলমুখর আনন্দঘন পরিবেশে প্রাণবন্ত ঈশিতা যেন প্রাণহীন, ছন্দহীন, গম্ভীর ও বিষণ্ণ। জানা গেল, তিন বছর আগে হারানো মায়ের স্মৃতিই আজ তার অন্তরকে বেদনাচ্ছন্ন করে রেখেছে।
5. পিতৃহীন রাশেদার স্বামীর সংসারে মোটেই সুখ নেই। অর্থের জন্য শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে মানসিক নির্যাতন করে। গর্ভবতী হওয়া সত্ত্বেও নেশাখোর স্বামী তার গায়ে হাত তোলে। স্বামীর নির্মম অত্যাচারে প্রায়ই সে অজ্ঞান হয়ে যায়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক সময় রাশেদার প্রতিবাদী নারীসত্তা জেগে ওঠে। নির্দয় স্বামীর কাছে নতি স্বীকার না করে আইনের আশ্রয় নিয়ে স্বামী-শাশুড়িকে জেলে পাঠায়।