1. নাসির উদ্দিন শাহ শাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রচলিত রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার ও পুনর্বিন্যাস করেন। রাজস্ব ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে তিনি জমি জরিপ প্রথা চালু করেন এবং রাজস্ব নির্ধারণ ও আদায় ব্যবস্থায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগ করেন । তার শাসনামলে রাজস্ব আদায়ের জন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দান করা হয়। এ ছাড়াও প্রজা স্বার্থ সংরক্ষণ, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রাসরণ সহ রাষ্ট্রীয় আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বহু পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়।
2. আফ্রিকার খনিজ সম্পদে ভরপুর একটি দেশ সুদান। এদেশের উত্তরাঞ্চলের আয়তন দক্ষিণাঞ্চলের চেয়ে অনেক বড় হলেও জনসংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এছাড়া উত্তরাঞ্চলে নদী-নালা কম থাকার কারণে এখানকার ভূমি ছিল অনুর্বর এবং কোথাও কোথাও মরুময়। অন্যদিকে নদীবিধৌত দক্ষিণ সুদান ছিল উর্বর এবং খনিজ সম্পদগুলোও এ অঞ্চলে অবস্থিত ছিল। রাষ্ট্রক্ষমতায় উত্তর সুদানের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকায় তারা দক্ষিণ সুদানকে অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত করে উত্তরে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে। এ অবস্থায় দক্ষিণ সুদান সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতার ডাক দিলে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় গণভোটের মাধ্যমে দক্ষিণ সুদান স্বাধীনতা অর্জন করে ।
3. মাদাইন রাজ্যটির একপাশে পাহাড়-পর্বত ও অন্যপাশে ছিল কাজের অনুপযোগী বিস্তৃত ভূভাগ। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এর আবহওয়া ও জলবায়ু শুষ্ক ছিল। ফলে সারাবছর এ অঞ্চলে খাদ্যাভাব লেগেই থাকতো। পক্ষান্তরে, পার্শ্ববর্তী রাজ্য কাশগর ছিল সুজলা সুফলা শস্য শ্যামল অঞ্চল। দেশের খাদ্যাভাব দূর করার লক্ষ্যে তাই মাদাইন সম্রাট তার রাজত্বকালে বহুবার পার্শ্ববর্তী রাজ্য আক্রমণ করেন। খাদ্য দ্রব্যাদি ছাড়াও এ অঞ্চল হতে লুটে নেওয়া ধনসম্পদের দ্বারা তিনি তার রাজ্যকে জ্ঞানবিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্য ও স্থাপত্যকলায় এক অনন্য উচ্চতায় উপনীত করতে সক্ষম হন ।
4. জুনানগর রাষ্ট্রটি যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন কাঠামোর আওতায় পূর্ব ও পশ্চিম দুটি প্রধান প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। কেন্দ্রীয় প্রশাসনব্যবস্থা পশ্চিম অঞ্চল হতে পরিচালনা করা হতো। কিন্তু শুরু থেকেই পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী পূর্বাঞ্চলের প্রতি বহুমুখী বৈষম্যমূলক নীতি আরোপ করতে থাকে। প্রথমেই তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্বাঞ্চলের জনগণের মাতৃভাষার পরিবর্তে পশ্চিম অঞ্চলের অন্য একটি ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করে। এতে পূর্বাঞ্চলে তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে ওঠে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় মিছিল বের করলে পুলিশের গুলিতে কতিপয় আন্দোলনকারী জনতা শহিদ হয়
5. আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। বৈদেশিক শাসন, শোষণ, নিপীড়ন, নির্যাতন, বর্ণবৈষম্য ও গৃহযুদ্ধের ফলে বিপর্যস্ত আমেরিকার জনগণের আর্থ-সামাজিক মুক্তির দিকনির্দেশনা দিয়ে তিনি এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। ১৮৬৩ সারের ১৯ নভেম্বর পেনসিলভেনিয়ার গেটিসবার্গে প্রদত্ত তার এ ভাষণ ঐতিহাসিক 'গেটিসবার্গ ভাষণ' নামে বিখ্যাত হয়ে আছে। রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের অবসান ও মার্কিন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে আব্রাহাম লিংকনের এ বক্তৃতাকে মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।