1. তহমিনা যুব উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তার পুকুরে নাইলোটিকা মাছ চাষ করেন কিন্তু মাছের বৃদ্ধি আশানুরূপ হয়নি। তিনি মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শ চান। মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, মাছের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক খাদ্য যথেষ্ট নয়। এজন্য মাছের অতিরিত খাদ্য সরবরাহ প্রয়োজন হয়। মৎস্য কর্মকর্তা এ খাদ্য তৈরির কৌশলও তহমিনাকে বুঝিয়ে দেন। তিনি আরও বলেন, মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি হলো সম্পূরক খাদ্য।"
2. কৃষি বিষয়ক একটি মাসিক পত্রিকা 'কৃষিকথা'। এই পত্রিকার একটি প্রতিবেদন পড়ে শরিফুল সাহেব জানতে পারেন যে, চিংড়িকে বাংলাদেশের 'সাদা সোনা' বলা হয় এবং বাংলাদেশে এটি চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। উক্ত প্রতিবেদন পড়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে শরিফুল সাষেন তার পুকুরে চিংড়ি চাষের সিস্টান্ত নিলেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শের জন্য তিনি মৎস্য কর্মকর্তার কাছে গেলেন। মৎস্য কর্মকর্তা তাকে মিশ্রচাষ পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের পরামর্শ দিলেন।
3. রতন রংপুরে তার মামার বাড়িতে বেড়াতে গেলে মামা তাকে উপজেলা সদরে মেলা দেখতে নিয়ে যায়। সেখানে সে বিভিন্ন ধরনের বাহারি গাছ ও ক্যাকটাস দেখল। যখন আমের চারার স্টলে গেল, সে দেখল ছোট ছোট গাছে অনেক আম ধরে আছে। তার মামা মেলা থেকে কয়েক প্রজাতির গাছ কিনলেন এবং বাড়িতে এসে রোপণ করলেন। এসব দেখে রতন লেখাপড়ার পাশাপাশি নার্সারি করার সিদ্ধান্ত নিল।
4. টেলিভিশনে গরু মোটাতাজাকরণের ওপর একটি প্রতিবেদন দেখে তোরাব আলী গরু মোটাতাজা করার জন্য ৫টি এঁড়ে বাছুর ক্রয় করেন। তিনি বাছুরগুলোকে প্রত্যহ সাধারণ খাবার খাওয়াচ্ছেন কিন্তু মোটাতাজা হচ্ছে না। তিনি নিকটস্থ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে যান। কর্মকর্তা তাকে ইউরিয়া ও চিটাগুড় প্রক্রিয়াজাত করে খাওয়ানোর পরামর্শ দেন।
5. সাইদুল কৃষি ডিপ্লোমা পাস করে নিজ বাড়িতে মাংস উৎপাদনের জন্য একটি খামার স্থাপনের পরিকল্পনা করে। এ কাজে দক্ষতা অর্জনের জন্য সে যুব উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নেয়। প্রশিক্ষণের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ছোট আকারের একটি পোল্ট্রি খামার শুরু করে এবং সফলতা অর্জন করে।