1.
জনাব রায়হান ঢাকার বাদামতলী আড়তের একজন সফল ফল ব্যবসায়ী। সারা বৎসর আপেল, আঙ্গুর, বেদানা, নাসপাতিসহ বিভিন্ন বিদেশি ফল আমদানি করেন। ভরা মৌসুমে রাজশাহীর বিভিন্ন আম বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে সেগুলোকে ছোট বড় বিভিনড়ব ভাগে ভাগ করে ঝুড়িতে ভরে তা ট্রাকে করে বিক্রির জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন। বিভিন্ন রকম ফল সংগ্রহের জন্য তাকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। এতে করে খুচরা ব্যবসায়ীরা তার কাছ থেকে ফল ক্রয় করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
2.
জামালপুর জেলার জনাব কার্তিক বাঁশ, খেজুর ও তাল গাছের ওপর ভিত্তি করে ‘ রাংতা’ নামের একটি কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য যেমন হাতপাখা, টুপি, শিতল পাটি, মাদুরসহ বিভিন্ন রকম খেলনা সামগ্রী ক্রেতাদের ভীষণভাবে আকৃষ্ট করে। ফলে তার উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি হচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি কারখানাটি সম্প্রসারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে তিনি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না।
3.
সমবায়ের মূলমন্ত্রই হলো “একতাই বল”, “সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।” এগুলো সত্যিই আবেদনময়ী কথা! সবার কল্যাণ, ঐক্য, সহযোগিতা ও সাম্য এ বিষয়গুলো অন্য ব্যবসায় সংগঠনের সাথে তেমনভাবে দেখা যায় না। বাংলাদেশের সমবায় সংগঠন তার নির্দিষ্ট আঙ্গিকে ব্যাপকতা লাভ করুক, সফল হোক এটা অনেকেই বিভিন্ন কারণে প্রত্যাশা করে থাকে। কিন্তু সচেতনতার অভাব, ব্যাপক প্রচারসহ বিবিধ কারণে বাংলাদেশে সমবায় আন্দোলন তেমনভাবে সফল হয়নি।
4. জনাব শরীফ একজন সমাজসেবী জনহিতৈষী ব্যক্তিত্ব। সমাজের মানুষের উপকার হয়, এমন বিভিন্ন রকম বিষয় নিয়ে তিনি কাজ করেন। পাড়ায় তিনি একটি পাঠাগার নির্মাণ করেছেন। গরিব মানুষের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ায় উৎসাহ দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন একটি শিক্ষা সহায়ক ফাউন্ডেশন। সেই সাথে আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কিছু বিত্তবান মানুষকে একত্র করে অংশীদারি ভিত্তিতে গড়ে তুলেছেন একটি বুটিক হাউজ। এখানকার মুনাফার একটি অংশ তিনি সহায়ক ফাউন্ডেশনে নিয়মিত দিচ্ছেন।
5.
জনাব আহমেদ ও জনাব সিয়াম দুজন শেয়ার বাজায় থেকে “হামীম কোম্পানি লি.” এর ১২,০০,০০০ ও ৭,০০,০০০ টাকার শেয়ার ক্রয় করেন। জনাব আহমেদ হামীম কোম্পানি লি. এর বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণপত্র পেলেও জনাব সিয়াম কোনো আমন্ত্রণ পত্র পান নাই। কোম্পানিটি বিলোপের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে জনাব সিয়াম তার বিনিয়োগকৃত ৭,০০,০০০ টাকা ফেরৎ পেলেও জনব আহমেদ তার বিনিয়োগ অপেক্ষা ৪,০০,০০০ টাকা কম পান।