1. ঘটনা-১: 'ক' অঞ্চলের বিবদমান দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে হঠাৎ ররক্ষয়ী সংঘর্ষ কশরালী উত্তক্ষয় গোষ্ঠী শুড়ে। জনাব আকবর আলী উভয় গোষ্ঠীর লোকজনকে ডেকে তাড়ায়। সমস্যা ধৈর্য সহকারে শোনেন। তিনি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে সবার সঙ্গে সুষ্ঠু সমাধানের উপায় খুঁজতে কনিয়ারও উক্ত সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন। এলাকার জনগণ তাকে। মুক্তিবান ও পক্ষপাতহীন ব্যক্তি হিসেবে মান্য করেন। খুব অল্প সময়ের। মধ্যে এ দুজন মিলে সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেন।
ঘটনা-২: 'খ' অঞ্চলে একটি নির্বাচনে শিহাব উদ্দীনসহ একাধিক প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। কিন্তু এলাকার জনগণ শিহাব উদ্দীনের কথায়। ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত হন। ফলে জনগণ অন্ধের মতো তার অনুসারী হয়। এবং শিহাব উদ্দীন ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন।
2. ঘটনা-১: কিছুদিন পূর্বে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ। তাদের পদবি ৩য় শ্রেণি থেকে ২য় শ্রেণিতে উন্নীত করার জন্য আন্দোলন, ধর্মঘট পালন করেন। তাঁরা সারা দেশের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম অচল করে দেওয়ার হুমকি দেন। সরকার বিষয়টি আন্তরিকতার সাথে সমাধান করে।
ঘটনা-২: গত ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখের বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার কয়েকটি শিরোনাম ছিল- ভোলায় তোফায়েল গেলেন বিএনপি প্রার্থীর। বাড়ী, নাটোরে নৌকা-ধানের শীষ প্রার্থীর কুশল বিনিময়, ভোটারদের। কাছে ছুটছেন নৌকা-ধানের শীষ প্রার্থীরা।
ঘটনা-৩: সমুদ্র সংলগ্ন বারাকপুর গ্রামের জনগণ ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সামুদ্রিক পানির লবণাক্ততা প্রভৃতি কারণে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। উপকূলে বাঁধ নির্মাণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অনেক পূর্বে মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠালেও আজও তার বাস্তবায়ন হয়নি।
ছক-১ | ছক-২ | ছক-৩ |
---|---|---|
রাষ্ট্র ও ব্যক্তির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি হয় । | ব্যক্তির যৌক্তিক ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে। | বিশেষ ব্যক্তির জন্য বিশেষ সুযোগ- সুবিধার অনুপস্থিতি । |
রাষ্ট্রীয় জীবনের উন্নতি ও সুশৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য নিয়ম- নীতি প্রণীত হয় । | স্ব-স্ব প্রতিভার বিকাশ ঘটানো যায়। | প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে । |
এটি পালন না করলে জীবনে বিশৃঙ্খলা দেখা যায় । | ব্যক্তি তার মতামত প্রকাশ করতে পারে। | প্রত্যেকে তার যোগ্যতার উন্নয়ন ঘটাতে পারে। |
4. বাংলা ভাষার নবজন্মের প্রাচুর্যময় ইতিহাসের মহানায়ক আব্দুল মতিন ‘৫২’ এর ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক হওয়ায় তিনি পরিচিতি লাভ করেছিলেন ‘ভাষা মতিন’ নামে। শেষ যাত্রাতেও তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রের গবেষণার জন্য দান করেছেন নিজের চক্ষু এবং দেহ। ১৯৪৮ সালের ২৪ মার্চ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে চেয়ারের ওপরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন ‘No it cannot be'। ভাষা সংগ্রামী আব্দুল মতিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ।
5. জনাব আসাদ তাঁর এলাকায় ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত এবং দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা একটি প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ ব্যাপারে তাকে সহযোগিতা করার জন্য রফিক এবং সেলিম নামে দুইজনকে মনোনীত করেন। রফিক সাহেবের উপর প্রতিষ্ঠানটির পূর্বের অবস্থা, কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা, অসুবিধা, বন্ধ হওয়ার কারণ ইত্যাদির দালিলিক প্রমাণ সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেলিম সাহেবের উপর প্রতিষ্ঠানটির আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং অল্প অর্থে বেশি চাহিদা পূরণ করে কীভাবে কর্মীদের কল্যাণ সাধন করা যায় তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়। জনাব আসাদ প্রতিষ্ঠানটি চালু করার জন্য সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিবর্গ এবং রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করার দায়িত্ব নিজ হাতে রাখেন।