পৌরনীতি ও সুশাসন ২য় পত্র বরিশাল বোর্ড ২০১৬

1. আয়ান উচ্চ শিক্ষার্থে ইংল্যান্ড যায়। সেই দেশের সংবিধান অলিখিত ও সুপরিবর্তনীয়। শাসন ব্যবস্থা এককেন্দ্রিক ও মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার। সেখানে দ্বিদলীয় ব্যবস্থা বিদ্যমান ও আইনসভা এক কক্ষবিশিষ্ট। সে দেশে নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্র প্রচলিত থাকলেও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক অবস্থা বিদ্যমান।

2. যুদ্ধের অভিশাপ থেকে মুক্ত করে বিশ্বব্যাপী স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন, যার সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রে। বর্তমানে ১৯৩টি স্বাধীন ও স্বার্বভৌম রাষ্ট্র এ সংগঠনের সদস্য। বিশ্বব্যাপী স্নায়ুযুদ্ধের অবসান, টেকসই উন্নয়ন, গণতন্ত্রের উন্নয়ন, দুর্যোগ মোকাবিলা ছাড়াও স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা। বিধানে সংস্থাটির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সংগঠনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। মূলত আন্তর্জাতিক শান্তি ও সম্প্রীতি। রক্ষার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল কাজ এ সংস্থাটি করলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে। এর ব্যর্থতাও রয়েছে।

3. একদিন সাইফুল সাহেব তার মেয়েকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেয় দেখতে যান। তার মেয়ে বললো, এই বঙ্গবন্ধু সেতুর জন্যই সিরাজগঞ্জ বিখ্যাত হয়ে থাকবে। তিনি বললেন, না, এই অঞ্চল এমন এক নেতায় জন্মস্থান, যিনি ব্রিটিশ ভারতের কৃষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বহু আন্দোলন করেছেন। শুধুমাত্র মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও তিমি বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।

4. জানাবে চৌধুরী প্রথিতযশা আইনজীবী। সংবিধান ছাড়াও দেওয়ানি, ফৌজদারি আইন সম্পর্কে তার ধারণা খুবই স্পষ্ট। আইনজীবী হিসেবে তার সুখ্যাতির কথা বিবেচনায় এনে সরকার তাকে একটি সাংবিধানিক পদে নিয়োগ প্রদান করে। তিনি আইনি পরামর্শ ও সরকারের পক্ষে মামলায় মতামত দিয়ে থাকেন।

5. বর্ষার জলাবন্ধতা নগর জীবনের এক অভিশাপ। নগরবাসীকে এই সংকট হতে মুক্তি দেয়ার জন্য নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়। নালা-নর্দমা পরিস্কার, জলাশয় ভরাট রোধ, জনসচেতনতা সৃষ্টি ইত্যাদি নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়। সরকারের একটি স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এসব কাজ করে থাকে। যেহেতু নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এসব কাজে নিয়োজিত তাই জনগণের প্রত্যাশা তাদের প্রতি অত্যধিক। বাংলাদেশে এরূপ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় তিন শতাধিক।