1.
আনমনা লিমিটেড বিভিন্ন কোয়ালিটির রড উৎপাদন ও বিপণন করে। প্রতিষ্ঠানটি কর্মী নিয়োগ দেওয়ার জন্য কর্মীর যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, বয়স ইত্যাদি উল্লেখ করে একটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেন। আবেদনকৃত ১,০০০ প্রার্থী থেকে যাচাই-বাছাই শেষে ৪০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক কর্মীকে প্রতিষ্ঠানের ৬ টি বিভাগের পর্যায়ক্রমে একমাস করে কাজ করার নির্দেশনা দেন।
2.
জনাব শফিক একটি উৎপাদন মুখী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি প্রতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে অধঃস্তনদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে নির্দেশনা প্রদান করেন। অন্যদিকের জনাব রফিক একান্ত প্রয়োজন ছাড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কারো পরামর্শ গ্রহণ করেন না। তবে স্নেহ মমতার মাধ্যমে কর্মীদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নেন। এদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
3.
জনাব শিমু একটি গার্মেন্টস এর মালিক। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের প্রতি মাসে ১৫০০০ পিস পোশাক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন। উৎপাদন ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করার পরও গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে উৎপাদন হয়েছে যথাক্রমে ১৩০০০ ও ১৩৫০০ পিস। কারণ হিসেবে খুঁজে দেখা গেল দক্ষ শ্রমিক ও কাঁচামালের অভাব রয়েছে। প্রয়োজনীয় দক্ষ শ্রমিক ও কাঁচামাল সরবরাহের ফলে মার্চ মাস থেকেই প্রতিষ্ঠানটি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সামর্থ্য হন।
4.
জনাব ফরহাদ একটি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের মালিক। তার কারখানায় উৎপাদিত পোশাক ইউরোপের বিভিন্ন দেশের রপ্তানি করা হয়। সম্প্রতি তিনি কানাডা হতে ১,০০,০০০ টি-শার্ট রপ্তানির অর্ডার পান। কিন্তু বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে যথাসময়ে উৎপাদন করতে ব্যর্থ হন। জনাব রাইয়ান "ABC গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ এর মালিক। তিনি দেশীয় চাহিদা মেটানোর পর উদ্বৃত্ত পোশাক রপ্তানি করেন। তিনি গ্রাহকদের ফরমায়েশ অনুযায়ী পোশাক সরবরাহ করেন। তিনি উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখেন।
5.
বৃষ্টি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপক মি. শাকিল। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কাজগুলোকে ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেন। কর্মীদের দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে তাদেরকে বিভিন্ন বিভাগে নিয়োজিত করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারণ করেন। ভোক্তদের রুচি ও চাহিদার কথা বিবেচনা করে তিনি উৎপাদনের নিত্য নতুন কলা কৌশল ও প্রযুক্তির ব্যবহার করেন। ফলে তার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।