1. কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু বাংলাদেশের মতো অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নানাবিধ সমস্যা বিদ্যমান। তন্মধ্যে দক্ষ মানবসম্পদের অভাব, দুর্নীতি, মুদ্রাস্ফীতি, সঠিক তথ্য ও উপাত্তের অভাব, অর্থায়নের অনিশ্চয়তা, বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশের অনুপস্থিতি, সৎ ও দক্ষ প্রশাসনের অভাব ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
2. বাংলাদেশ প্রধানত কৃষিনির্ভর, দরিদ্র ও জনবহুল দেশ। সার্কভুক্ত দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশ প্রধানত কৃষিজাত দ্রব্য, শিল্পের কাঁচামাল, তৈরি পোশাক, পান-সুপারিসহ কিছু প্রচলিত অপ্রচলিত পণ্যসামগ্রী রপ্তানি করে। তবে প্রচলিত পণ্যের চেয়ে অপ্রচলিত পণ্যসামগ্রীর রপ্তানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য কর অবকাশ, বিশেষ সুবিধা, রপ্তানি ঋণ, ইপিজেড স্থাপন, বাণিজ্য মেলার আয়োজন ও অংশগ্রহণ এবং বিশ্ববাজার সার্ভে করাচ্ছেন।
4. মি. 'ক' একজন সরকারি কর্মচারী। তিনি মাসে ৫০,০০০ টাকা বেতন পান। সরকার বেতন দেওয়ার সময়ই তার কাছ থেকে আয়কর কেটে রাখেন। মি. 'খ. একজন ব্যবসায়ী। করের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেন ফলে তার দোকানের বেচাকেনা কমে যায়। তখন তিনি দ্রব্যমূল্য কমিয়ে দ্রব্য বিক্রয়ের পরিমাণ স্বাভাবিক স্তরে আনতে বাধ্য হন। ইতোমধ্যে দেশের ক্রমবর্ধমান জনগণের বর্ধিত চাহিদা পূরণ করার জন্য সরকার নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যেমন, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল নির্মাণ, যাতায়াত ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন, তথ্য ও প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, খাদ্য ও পুনর্বাসন ইত্যাদি।
5. মি. 'X' ও তার পরিবারের সদস্যরা কুলা, ঝাঁপি, ডালা, ফুলদানি তৈরি ও বিক্রি করে। তার পুঁজি কম। তাই সে ঋণের জন্য বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ও ব্যাংকে যোগাযোগ করে। জামানত দিতে না পারায় প্রতিষ্ঠানগুলো তাকে ঋণ দেয় না। ব্যাংক ঋণ পেলে সে উৎপাদন বৃদ্ধি করে আর্থিক অনটন দূর করতে পারতো।