Bangla 1st Paper ঢাকা সিটি কলেজ 2024

প্রশ্ন ১১·সময় ৪ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট

1. শিমুলিয়া গ্রামের মানুষগুলো অত্যন্ত পরিশ্রমী, তাদের গোলাভরা ধान আছে, কণ্ঠ ভরা গান আছে আর আছে জীবনের জন্য সংগ্রামী চেতনা। এ গ্রামের সকলে ফসলের মাঠে যেমন সুরের মূর্ছনা তোলে, তেমনি আবার প্রাকৃতির দুর্যোগের সময় এরা লোকমান ফকিরের সাহায্য কামনা করে। এ গ্রামের লোকদের অনেকের ঘরে হয়তো অভাব আছে কিন্তু দুঃখকষ্ট আছে কি না তা বোঝা দায় তবে যেটুকু দুঃখ আসে তার কারণ লোকমানের মতো প্রতারক শ্রেণির মানুষ। গ্রামের সকল মানুষ ধর্মপ্রাণ কিন্তু শিক্ষা ও ধর্ম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না থাকায় ভণ্ড ধার্মিকেরা তাদের ঠকায়।

ব্যাখ্যা আনলক করতে চর্চা প্রিমিয়াম এ আপগ্রেড করো

2. ক-অংশ 

যুবকের বুকে নিয়ে বুলেটের অংশ

পড়িল মাটির পরে

ফোঁটায় ফোঁটায় লহুধারা

রাজপথে বিছাইল রক্ত জবা ফুল ।

শেষ নিশ্বাসের আগে তারা

গেয়ে গেল রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই ।

খ- অংশ     

 তোমাদের রক্তঋণ, অম্লান আহুতি

বেঁকে যাওয়া আমাদের মেরুদণ্ড

টান টান সোজা করে উদ্যত দাঁড়াতে 

দরকারি ক্রোধ, প্রেম প্রকাশ, শক্তি দেয়।

 

ব্যাখ্যা আনলক করতে চর্চা প্রিমিয়াম এ আপগ্রেড করো

3. অর্থনৈতিক দুরবস্থার জন্য বাবার বয়সি বজলু মিয়ার সাথে বিয়ে হয় আয়েশার। বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনে খুব একটা সুখী নয় সে কারণ জোরে হাসা যাবে না, সাজগোজ করা যাবে না এমন কি পাড়া-প্রতিবেশীর | য বাড়িতেও যাওয়া বারণ। তাই স্বামীর বাড়িতে আয়েশার নিজেকে খাঁচায় বন্দি পাখি মনে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে আয়েশা এটাও বুঝতে পারে যে বজলু মিয়া গ্রামের মসজিদের ইমাম হলেও মিথ্যা কথা বলে ম গ্রামবাসীকে নানা রকম দোয়া, তাবিজ, ঔষধ দিয়ে বাড়তি পয়সা উপার্জন করে। এক সময় আয়েশা এসব সহ্য করতে না পেরে গ্রামবাসীর কাছে ফাঁস করে দেয়। তখন বজলু মিয়া সকলের কাছে মাফ চেয়ে বলে একটা বাড়তি আয়ের আশায় তিনি এ কাজ করেছেন।

ব্যাখ্যা আনলক করতে চর্চা প্রিমিয়াম এ আপগ্রেড করো

4. প্রীতিলতা-সূর্যসেন নেই

তাঁরা আর এমনই সহস্র এসে গেছে বারবার

শাহজাহান আর তাঁর মহারাজ্য পাট

 অশোকের সাম্রাজ্যের ঠাটবাট

কিছুই নাহিকো মহাকালের গ্রাসে

নিঃশেষ সকলেই সময়ের স্রোতে

সময় পারেনি তবু নাম মুছে দিতে

মানুষের মন আজও সে নাম স্মরিছে

নাম হয় মৃত্যুহীন যদি থাকে বর্ম

কর্ম হল বেঁচে থাকার অক্ষয় বর্ম

ব্যাখ্যা আনলক করতে চর্চা প্রিমিয়াম এ আপগ্রেড করো

5. অত্যন্ত খিটখিটে মেজাজের মানুষ মামুন। ন্যায়-অন্যায়, ভালোমন্দ স বিষয়েই তিনি রেগে যান। এজন্য পরিবারের লোকজন ছাড়াও এলাকাবাসীও তার উপর বিরক্ত। কিন্তু মামুনের বক্তব্য তিনি কোনো ভুল বা অন্যায় করছেন না বরং অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন এবং এ কারণেই প্রয়োজনেই চিৎকার করেন, রাগ হয়ে যান। তবে একদিন তাকে এই রাগের খেসারত দিতে হয়। মামুনের সন্তান বাবার ভয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরতে গিয়ে দুর্ঘটনায় নিহত হয়। এরপর থেকে মামুন সম্পূর্ণ বদলে যায়। তিনি বুঝতে পারেন সব সময় রেগে থাকার মাধ্যমে কোনো সমাধান হয় না । তিনি তার ভুল শুধরে নতুনভাবে জীবনযাপন করেন।

ব্যাখ্যা আনলক করতে চর্চা প্রিমিয়াম এ আপগ্রেড করো

Nothing more to show