1.
আলেয়া খাতুন রাতের বেলা এক হাতে লণ্ঠন আর অন্য হাতে রশি নিয়ে মনের
দুঃখে কাঁদতে কাঁদতে পাশের বাড়ির সালেহা বেগমকে এসে বললেন, ‘আম্মা,
আমার আর বাঁচার এতটুকু ইচ্ছে নেই। যাকে মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসলাম সেই
যখন আমাকে ছেড়ে চলে গেল তখন আমি বাঁচতে চাই না। আমিও মরতে
চাই।’ সাহেলা বেগম বললেন, ‘দেখ বউমা, এমন কথা বলো না। তোমার শ্বশুরের সাথে ত্রিশ বছর ধরে সংসার করেছি। তিনি মারা যাওয়ার পরে আজও
এই ঘর, এই সংসারকে আঁকড়ে পড়ে আছি। কোনোদিন এই সংসার ছেড়ে চলে
যাওয়ার চিন্তাও করি নাই। তিনি যেদিন মারা গেলেন, বুকে পাথর বেঁধে সারাটি
রাত তার পাশেই বসে ছিলাম। যাও বাড়ি যাও। সব ঠিক হয়ে যাবে।’ পাশেই বসে থাকা সালেহা বেগমের ছোট সন্তান সোহাগ আলেয়া খাতুনকে জিজ্ঞাসা
করে, ‘ভাবী, তোমার হাতে লণ্ঠন কেন?’ আলেয়া খাতুন চট করে উত্তর দেয়-‘যদি সাপে কামড়ায়!’
2.
সালমার মা ছাড়া সংসারে আর কেউ নেই। লেখাপড়াও বেশিদূর করতে পারেনি। আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়েই মধ্যবয়সী একজন লোকের সাথে সালমার বিয়ে দেয় তার মা। স্বামীর বাড়ি গিয়ে সালমা দেখে যে, সেই সংসারে সতীন ও তার এক পুত্রসন্তান রয়েছে। সালমার ভাগ্য বড়ই খারাপ। বড় বউ তাকে মোটেও সহ্য করতে পারেনা। সারাদিন সালমাকে খাটায়, ঠিকমতো খেতে দেয় না। স্বামীর কান ভারী করে সালমার বিরুদ্ধে। হঠাৎ সালমা একদিন বুঝতে পারে যে, তার স্বামী একজন চোরাকারবারি। সালমা এসব দেখে ভয় পায়। সে প্রতিবাদ করলে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়। একদিন সালমা মেরাজের সমস্ত কুকীর্তির কথা পুলিশের কাছে ফাঁস করে দেয়। মেরাজের
মুখোশ খুলে যায়।
3.
ভেলরি টেইলর, বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধুর নাম। ৭২ বছর বয়সী এই
মহান ব্যক্তি কর্মজীবনে লাভ করেছেন নানা স্বীকৃতিসহ সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি। স্বেচ্ছাসেবা এবং সম্পূর্ণ আপন প্রচেষ্টায় সিআরপি প্রতিষ্ঠা করে তিনি দুস্থ,
নিঃসহায় মানুষের জন্য বিশ্বে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশে
সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন কারণে পঙ্গুত্বের শিকার হাজার হাজার মানুষকে
স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফিরিয়ে আনতে তার গড়া সিআরপি নজিরবিহীন ভূমিকা
পালন করছে।
4.
ওই দেখ, ওই যেন চিত্রিত প্রাচীর
ওই তব সৈন্যগণ
দাঁড়াইয়া অকারণ,
গণিতেছে লহরী কি রণ-পয়োধির?
দেখিছ না সর্ব্বনাশ সম্মুখে তোমার?
যায় বঙ্গ-সিংহাসন
যায় স্বাধীনতা-ধন
যেতেছে ভাসিয়া সব, কি দেখিছ আর?
5.
‘ওরা গুলি ছোড়ে এদেশের প্রাণে, দেশের দাবীকে রোখে
ওদের ঘৃণ্য পদাঘাত, এই বাংলার বুকে।
ওরা এদেশের নয়,
দেশের ভাগ্য ওরা করে বিক্রয়।’