1.
সম্প্রতি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত ঋণ প্রদান করায় দেশে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে যার ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রণ করে। বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে বিভিন্ন ধরনের সরকারি বন্ড আকর্ষণীয় শর্তে বিক্রয় করে। তবুও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় তালিকাভুক্ত ব্যাংকের CRR এর পরিমাণ ৫.৫% থেকে বাড়িয়ে ৬.৫% করায় তা নিয়ন্ত্রণে আসে।
2.
জনাব হাসেম ও জনাব মেহেদী ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং তারা দুজনই ব্যবসায়ী। হঠাৎ তাদের ব্যবসায়ের জন্য অর্থের প্রয়োজন দেখা দেয়। অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে দুজন একমত হয়ে জনাব হাসেম তিনমাস মেয়াদি একটি বিল প্রস্তুত করে স্বীকৃতির উদ্দেশ্যে জনাব মেহদীর নিকট পাঠায়। যথানিয়মে বিলটি ব্যাংক থেকে বাট্টা করে নিজেরা অর্থ ভাগ করে নেয়। মেয়াদপূর্তিতে উপস্থাপিত বিলটি পরিশোধিত হয়।
3.
COVID-19 এর কারণে দেশের ব্যবসায়-বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দেওয়ায় এ খাতে বিনিয়োগ কমে যায়। বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোতে অলস অর্থের পরিমাণ বাড়তে থাকে। বর্তমানে লকডাউনের সময় বিভিন্ন পেশার মানুষ কৃষকদের পাশাপাশি কৃষি ও মৎস্য চাষে মনোনিবেশ করছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে স্বল্প সুদে কৃষি ও মৎস্য খাতে ৫০% ঋণ দেওয়ার জন্য নির্দেশনা জারি করে।
4.
২০২০ সালের মার্চ মাসে মেঘনা ব্যাংক হবিগঞ্জ শাখায় বিভিন্ন ধার চেকের বিপক্ষে যে পেমেন্ট দিয়েছে তার সংখ্যা ও টাকার পরিমাণ নিচে দেওয়া হলো :
বাহক চেক - ২০০০ টি - ২০ কোটি টাকা
দাগকাটা চেক - ৪০০ টি - ১৮ কোটি টাকা
হুকুম চেক - ১০০ - ২ কোটি টাকা
5.
জনাব ফুয়াদ একজন ব্যবসায়ী। তার ব্যাংক তাকে একটি চুম্বকীয় কার্ড প্রদান করে যা দিয়ে তিনি জমাকৃত অর্থের বেশি উত্তোলন করতে পারেন না কিন্তু ব্যবসায়ের প্রয়োজনে কেনাকাটা ও বিল পরিশোধ করতে জমাকৃত অর্থের অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হয়। উক্ত কার্ড দিয়ে তা সম্ভব না হওয়ায় তিনি অন্য একটি ব্যাংকে হিসাব খোলেন এবং ব্যাংক তাকে অন্য এক ধরনের চুম্বকীয় কার্ড প্রদান করেন যা দিয়ে তিনি জমাকৃত অর্থের বেশি টাকা উত্তোলন এবং কেনাকাটা করতে পারেন ।