1.
সরকারি ঋণ বলতে সরকারের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ গৃহীত ঋণকে বোঝায়। সরকার তার ব্যয় নির্বাহের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি খাত থেকে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। সরকার মূলত আর্থসামাজিক অবকাঠামো নির্মাণ, ঘাটতে বাজেট পূরণ ও জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করার উদ্দেশ্যে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। এজন্য সরকারি ঋণ শুধুমাত্র উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহার করা উচিত। তা না হলে দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটবে।
2.
মি. রহমান একটি গার্মেন্টস শিল্প পরিচালনা করেন। এ শিল্পটি বাংলাদেশে খুব দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। এ শিল্পের উৎপাদিত দ্রব্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করে। বর্তমানে এ শিল্পে ৫০ লক্ষের মতো শ্রমিক কাজ করে। মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ এ শিল্প হতে আসে। বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের এ শিল্পের খুব সুনাম রয়েছে।
3.
একদিন অর্থনীতির এক ক্লাসে শিক্ষক বললেন, বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা বেশি, মাথাপিছু আয় কম, জীবন যাত্রার মান নিম্ন হওয়ায় বাংলাদেশকে অধিক জনসংখ্যার দেশ বলা হয়। তিনি বলেন, যদি আমরা আমাদের এই জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে পারি, সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারি, মাথাপিছু আয় বাড়াতে পারি, শান্তিতে বসবাস করতে পারব।তাহলে বাংলাদেশকেও কাম্য জনসংখ্যার দেশ বলা যাবে।
4.
উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং নিম্নের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
5.
বৈদেশিক ঋণ ও সাহায্য দেশীয় অর্থনীতিকে গতিশীল করতে সাহায্য করে। তবে বেশিরভাগ ঋণ ও সাহায্যের সাথে কঠিন শর্ত থাকে। দাতা দেশসমূহ বিভিন্ন অজুহাতে দেশের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপ করে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে প্রচুর বৈদেশিক ঋণ ও সাহায্য এসেছে যার বেশিরভাগই অপচয় ও দুর্নীতি হয়েছে। তাই আমাদের উচিত বৈদেশিক ঋণ ও সাহায্যের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নিত্যনতুন রপ্তানিমুখী দ্রব্যসমূহ উৎপাদন করা। ফলে এদেশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে স্বনির্ভরতা অর্জনের পথে এগিয়ে যাবে।