1. উদ্দীপক-১ : মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক শামা আপা একটি গবেষণায় শব্দের প্রভাব জানার জন্য সমান বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দুটি দল গঠন করেন। তিনি একদলের উপর শব্দ প্রয়োগ করে এবং অন্য দলকে শব্দের প্রভাবমুক্ত রেখে শব্দের প্রভাব জানতে চান। তিনি উভয় দলকে একইভাবে লিখিত নির্দেশনা দিলেন এবং একই সময়ে উভয় দলের উপর পরীক্ষণটি পরিচালনা করলেন ।
উদ্দীপক-২ : জেরিন মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে এখন একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন । প্রতিদিনের মতো মাঠে হাঁটতে গিয়ে আজ তিনি দেখলেন, খেলার মাঠে কিছু শিশু খেলছে। হঠাৎ করে এই শিশুদের আচরণ সম্পর্কে তিনি জানতে আগ্রহী হলেন। কিন্তু মাঠে অনেক লোকজন ছিল বলে তিনি কাজটি ভালোভাবে করতে পারলেন না। বাসায় এসে তিনি ঠিক করলেন ছোট শিশুরা খেলার সময় তো পরস্পরকে সহযোগিতা করে তা তিনি জানবেন। তাই পরের দিন স্কুলে তার ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের অনেক ধরণের খেলনা দিয়ে দূর থেকে তাদের আচরণ তিনি লক্ষ্য করতে থাকলেন ।
2. উদ্দীপক-১ : মিলির বয়স ৭ বছর। সে স্কুল পরিবর্তন করে নতুন একটি স্কুলে ভর্তি হবে। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষ তার টেস্ট নিল । টেন্টে সে ৭ বছরের উপযোগী সব প্রশ্নের উত্তর দিল। ৮ বছরের ৪টি প্রশ্নের ও ৯ বছরের ২টি প্রশ্নের উত্তর দিল। কিন্তু ১০ বছরের উপযোগী কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারল না ।
উদ্দীপক-২ : শাহীন ও সাদিক দুই ভাই। শাহীন বরাবরই ক্লাসে প্রথম স্থান অধিকার করে। অন্যদিকে সাদিক ছাত্র হিসাবে মাঝারি প্রকৃতির। সে এবার বিজ্ঞান মেলায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ।
3. জনাব জুনায়েদ একজন আলোকিত মানুষ। তিনি সৎ, নির্ভিক এবং দেশপ্রেমিক। তার মা-বাবা ছোটবেলা থেকে কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলার মাধ্যমে তাকে বড় করেছেন। তিনি তার শিক্ষক ও সহপাঠীদের থেকে অনেক কিছু শিখেছেন এবং নিজেকে একজন প্রকৃত মানুষ হিসাবে গড়ে তুলেছেন। তিনি তার চারপাশের সকল মানুষকে ভালোবাসেন এবং সকলের বিপদে আপদে এগিয়ে আসেন। নিজের লাভের কথা তিনি কখনও চিন্তা করেন না। কিছুদিন পূর্বে তিনি গ্রামে একটি স্কুল ও মসজিদ স্থাপন করেছেন।
5. উদ্দীপক-১ : মানুষের চাওয়া পাওয়ার শেষ নেই। প্রেষণা মানুষকে কোন না কোন কাজে চালিত করে। প্রেষণার কারণেই আমরা লক্ষ্যবস্তু লাভ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করি। প্রেষিত আচরণ বাধাপ্রাপ্ত হলে আমরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি।
উদ্দীপক-২ : জনি, রকি ও মেহেদী তিন বন্ধু সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে । কিন্তু তিনজনই অকৃতকার্য হয়েছে। ফলাফল পেয়ে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। জনি নিজের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করে বুঝতে পারে যে, তার প্রস্তুতি যথেষ্ঠ ভাল ছিল না। তাই সে নতুন উদ্যমে পরবর্তী মেডিকেল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে। রকি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে যায়। মেহেদী বুঝতে পারে তার মেডিকেলে পড়া হবে না । তাই সে মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার চিন্তা ছেড়ে দেয় ।