1. আকরাম একজন সবজি উৎপাদনকারী কৃষক। তার উৎপাদিত সবজি তিনি দূরবর্তী বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন। পথে তার বেশ কিছু সবজি নষ্ট হয়ে যায় এবং দুর্গন্ধ বের হয়। ফলে তিনি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। আকরাম সমস্যা সমাধানে কৃষি কর্মকর্তার শরণাপন্ন হন। কৃষি কর্মকর্তা তাকে এ ব্যাপারে পরামর্শ দেন। পরামর্শ -কাজে লাগিয়ে তিনি পরবর্তীতে লাভবান হন ।
2. গনি মিয়া গতানুগতিক পদ্ধতিতে ধান চাষ করেন। কিন্তু এ বছর রসুলপুর গ্রামে তিনি দেখতে পান যে কৃষকেরা দশদিন বয়সের চারা বর্গাকারে রোপণ করেছেন। তারা প্রতি গোছায় একটি করে চারা রোপণ করেছেন। তিনি জমিতে পানি দেখতে পেলেন না কিন্তু মাটিতে খাড়াভাবে পুঁতে দেওয়া কয়েকটি ছিদ্রযুক্ত পাইপ দেখতে পান। পরবর্তীতে তিনি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার নিকট থেকে এ বিষয়ে। বিস্তারিত জানতে পারেন।
3. জামান সাহেব আমন মৌসুমে ধান চাষ করে কম লাভবান হওয়ায় উপজেলা কৃষি অফিসারের নিকট যান। কৃষি অফিসার কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন। জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব সার প্রয়োগ করে সবজি চাষ করতে বলেন। তিনি সময়মতো সেচ এবং বালাইনাশকও প্রয়োগ করতে বলেন। এতে উৎপাদন খরচ বাড়লেও জামান সাহেব পূর্বের তুলনায় বেশি লাভবান হন।
4. মি. রহমত তার জমিতে প্রচুর পরিমাণে ইউরিয়া সার, সেচ ও কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে ব্রি ধান ২৮ জাতের ধান উৎপাদন করেন। এতে তার সংলগ্ন জমির তুলনায় ফলন বেশি হয়। কিন্তু পাশের গ্রামের সুমন তার জমিতে এ্যাজোলা চাষ করে মাটিতে মিশিয়ে ব্রি ধান। ২৮ জাতের ধানের চাষ করেন। তার জমির দশ মিটারের মধ্যে অন্য কোনো জাতের ধান চাষ হয়নি। তিনি রোগিংসহ সকল পরিচর্যা করেন। এতে তার উৎপাদন খরচ অনেকটা কমে গেল।
5. মিঃ রিপন কয়েক বছর যাবত তার জমিতে ফসলের ভালো ফলন পাচ্ছেন না। জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করেও ফল হয়নি। এ সমস্যায় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী তিনি তার জমির মাটি "মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে" পরীক্ষা করান। পরীক্ষায় দেখা যায় যে তার জমিতে মাটির অম্লমান ৪.৫। কৃষি কর্মকর্তা তার জমিতে অম্লত্ব সৃষ্টির কারণগুলো ব্যাখ্যা করেন এবং সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।