1. জনাব আবুল বাসার সাহেব পৈত্রিক ও বোনের সূত্রে বিপুল সম্পদের অধিকারী হন। এ সম্পদ তিনি নিজে ভোগ করেননি। তিনি এসব সম্পত্তিকে ৯টি অংশে বিভক্ত করেন । ইসলামের সেবার জন্য তিনটি, দাতব্য কাজের জন্য চারটি অংশ রাখেন। বাকি দুটি অংশ মুতাওয়াল্লিদের বেতন- ভাতাদি দেওয়ার জন্য বরাদ্দ করা হয়। এছাড়াও তিনি মানুষের কল্যাণে *বেশকিছু স্কুল, কলেজ, মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন ।
2. কে জানতো মাত্র ১৫ বছরের জন্য বাণিজ্য সনদ গ্রহণকারী ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এ দেশটিকে প্রায় ২০০ বছর শাসন করবে। কিন্তু তাই হয়েছিল। তমার দেশের ধন-সম্পদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এই ব্যবসায়ী শ্রেণি ধীরে ধীরে তাদের ব্যবসায় সম্প্রসারণ করেছিল। কলা কৌশলে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে সাম্রাজ্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে তারা শক্তি সঞ্চয় করেছিল। এক সময় এই ব্যবসায়ী গোষ্ঠী অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিণত হয়েছিল
3. একটি আন্তর্জাতিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ জনাব 'ক' কে তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ প্রদান করে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিযুক্ত হওয়ার পর জনাব ক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটিকে পরিচালনা পর্ষদের নিয়ন্ত্রণমুক্ত রাখার জন্য কতকগুলো দৃঢ় ও সুপরিকল্পিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটির স্বাবলম্বিতা অর্জনে সক্ষম হন। কিন্তু জনাব 'ক'-এর কর্মকাণ্ড পরিচালনা পর্ষদের মনঃপুত না হওয়ার কারণে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটে।
4. ১৯৩৯ সালে জার্মানি ও পোল্যান্ডের মধ্যে শুরু হয় যুদ্ধ, যা সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মুসলিমপ্রধান দেশ তুরস্ক জার্মানির পক্ষে যোগ দেয়। অপরদিকে, ব্রিটেন জার্মানির বিপক্ষে অবস্থান নেয়। ফলে মুসলমানরা এ যুদ্ধে ব্রিটিশদের পক্ষে অস্ত্রধারণ করতে অসম্মত হয়। ব্রিটিশরা মুসলমানদের এই বলে আশ্বস্ত করে যে, যুদ্ধে জয়ী হলে তারা তুরস্কের কোনো ক্ষতি করবে না। কিন্তু ব্রিটিশরা মুসলমানদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে ভারতীয় মুসলিমরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে।
5. ১৯৬৪ সাল থেকে ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা পৃথক রাষ্ট্রের জন্য সংগ্রাম করে আসছে। কিন্তু ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে তারা সফল হতে পারেনি। ১৯৮২ সালে তারা তিউনিশিয়ার রাজধানী তিউনিশে সদর দপ্তর স্থাপন করেন। প্রবাস থেকেই তারা তাদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।