1. রফিক সাহেব স্ত্রী-পুত্র নিয়ে শহরে বাস করেন। বর্তমানে এ শহরে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ইত্যাদি বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব দেখে তিনি উদ্বিগ্ন। যুবকদের মধ্যে মাদকাসক্ত হওয়ার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে। সকালে' প্রাতঃভ্রমণে তিনি তার বন্ধুদের সাথে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং তারা সকলেই মনে করেন, সবার সচেতনতাই পারে এ সমস্যার সমাধান করতে ।
2. এলাকাটিতে বিচিত্র পেশার লোকজন বসবাস করে। সেখানে কিছু সংখ্যক শিল্পপতি রয়েছে যারা বিপুল অর্থবিত্তের মালিক। আবার রয়েছে শিক্ষক, চাকরিজীবী। আবার দিন মজুর, শ্রমিকরাও সেখানে বসবাস করে। এদের মধ্যে জমি, অর্থ, ক্ষমতার ব্যাপক পার্থক্য। শিল্পপতিদের জীবনযাপন আর শ্রমিকের জীবনযাপনে আকাশ পাতাল তফাৎ।
3. গ্রামের বয়স্করা একসময় তাদের সন্তান-সন্ততি, নাতি-নাতনিদের গল্প, রূপকথা, নীতিবাক্য ইত্যাদি শোনাত। এছাড়া গ্রামে প্রায়ই পালা গান, যাত্রা, পুঁথিপাঠ ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হতো। এর মধ্য দিয়েই ছেলে-মেয়েরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভক্তি, বন্ধুত্ব এসব শিক্ষা লাভ করত। ফলে তারা সহজে কোন অসামাজিক কাজে জড়িত হতো না ।
4. সুমন চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ঢাকায় বসবাসরত তার বড় ভাইয়ের বাসায় ওঠে। সুমনের বড় ভাই তার স্ত্রীসহ ঢাকার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করে। সুমনের ভাই দুই সন্তানের জনক। সুমনের বড় ভাই তাকে নিয়ে একজন বিশিষ্ট শিল্পপতির বাসায় যায়। তিনি সুমনের কাছে থেকে নিজ এলাকার খোঁজখবর নেন এবং তার জন্য নিজের কোম্পানিতে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেন।
5. পাপনরা যে গ্রামে বসবাস করে সেখানে তার মতো আরও একই পেশার জনগোষ্ঠী রয়েছে। যারা ব্যবসায় বা অন্যান্য ধর্মীয় ক্রিয়া কলাপের সাথে জড়িত তারা পাপন কিংবা তার মতো একই বংশ পরম্পরায় পেশায় জড়িত জনগোষ্ঠীকে খুব একটা মর্যাদার চোখে দেখে না। পাপনের বিধবা মা সরকার থেকে প্রতি মাসে যে ভাতা পান তা দিয়েই ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করান। এ থেকে অল্প করে সঞ্চয় করে তিনি একটি সেলাই মেশিন ক্রয় করেছেন, যা তাকে বাড়তি কিছু আয়ের জোগান দিয়েছে।