1. জনাব জাকির তার ১০ (দশ) বন্ধুকে নিয়ে ঢাকা শহরে 'রনি এন্টারপ্রাইজ' নামক একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হতে অনুমতিপত্র গ্রহণের মাধ্যমে তারা ব্যবসায় গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। তাদের মূলধনের পরিমাণ ৪৮ কোটি টাকা। দক্ষতা ও সুনামের কারণে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালে ১৭ কোটি টাকা মুনাফার্জন করে। সম্প্রতি তারা ব্যবসায় সম্প্রসারণের চিন্তা করেন, যার জন্য অতিরিক্ত ২৩ কোটি টাকা মূলধন প্রয়োজন, যা শেয়ার বিক্রি অথবা ব্যাংক ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারেন।
2. রফিক পেশায় একজন রিকসা ভ্যান চালক। স্বল্প আয়ের লোক বিধায় সংসার চালাতে মহাজনের নিকট হতে ঋণ নিতে হয়। অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে কয়েকজন বন্ধু মিলে ভ্যানচালক সমবায় সমিতি গঠন করেন। তারা দৈনিক ভিত্তিক চাঁদা দিয়ে সঞ্চয় জমা করেন এবং জমাকৃত টাকা ব্যবসায়িক কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হন। সমিতি অল্পদিনে ৩৫টি ভ্যান গাড়ি নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয় করে। সমিতির সদস্য সংখ্যা এখন ৮৩ জন।
3. জনাব সিফাত ও তার ১০ বন্ধু মিলে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গঠন করার উদ্যোগ নেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন। কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র যাচাই করে সন্তুষ্ট হয়ে একটি পত্র ইস্যু করেন। পত্রটি পাওয়ার পর তারা ব্যবসায় আরম্ভ করেন। ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য তারা জনগণের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেন।
4. নিয়ামত হোসেন ১০ বছর ধরে চট্টগ্রাম শহরে একটি মুদি দোকান চালাচ্ছেন। গ্রাহকের সাথে তার সম্পর্ক ভালো। যুক্তিসঙ্গত দামে গ্রাহকের রুচি অনুযায়ী পণ্য বিক্রি করেন। প্রতিযোগিতার মধ্যেও তার গ্রাহক বেড়েছে। এখন তিনি বড় আকারের দোকান দেয়ার কথা ভাবছেন। এজন্য তার অধিক টাকার প্রয়োজন। বন্ধু রহিম তার ব্যবসায়ে পুঁজি বিনিয়োগ করতে চান। ব্যাংকও ঋণ দিতে রাজি।
5. জনাব ইকবাল ঢাকায় থাকেন। তিনি সন্দ্বীপে একটি বাড়ি কিনেন। সন্দ্বীপে গিয়ে তিনি সমুদ্রে মাছ ধরেন। উক্ত মাছ বিশেষ প্রক্রিয়ায় শুকিয়ে চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করেন। বাজারে তার পণ্যের ব্যাপক সুনাম আছে। পণ্যগুলোর ওজন ও আকার সুনির্দিষ্ট না থাকায় ক্রেতারা মাঝে মধ্যে তার পণ্য কিনতে সমস্যার মুখোমুখি হন।