1.
জনাব রহিম মিয়া একজন টমেটো চাষি। চলতি মৌসুমে তার জমিতে প্রচুর টমেটো উৎপন্ন হয়। প্রতিদিন টমেটো বিক্রয় করে তার যথেষ্ট পরিমাণ আয় হতে লাগল। কিন্তু মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে তিনি টমেটো নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন। বাজারে টমেটোর যোগান বেড়ে যাওয়ায় মূল্য কমে গেল এবং কিছু পরিমাণ টমেটো অবিক্রীত থাকে। অবিক্রীত টমেটো যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে পচে নষ্ট হয়ে যায়। এতে তিনি প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জনে ব্যর্থ হন।
2.
গ্রীনভ্যালি আবাসিক এলাকায় ৩০ জন ব্যক্তি ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয়ের জন্য 'ঐকতান' নামে একটি সমবায় সমিতি গঠন করে। স্থানীয় উৎপাদনকারী ও নিকটস্থ বাজার থেকে প্রতিষ্ঠানটি তাজা ও ভালো মানের পণ্য ক্রয় করে ন্যূনতম লাভে সমিতির সদস্যদের মধ্যে বিক্রয় করে। এতে সমিতির সদস্যদের ন্যায্যমূল্যে ভালো মানের পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়।
3.
বিদেশ থেকে ফিরে জনাব বাবর বাণিজ্যিকভাবে ধান ও মাছ চাষ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি তার নিজস্ব দু লক্ষ টাকা ও বন্ধুর কাছ থেকে একলক্ষ টাকা ধার নিয়ে নিজস্ব জমিতে ধান ও মাছ চাষ শুরু করলেন। এ বছর তার ধান ও মাছ উৎপাদন যথেষ্ট ভালো হয়েছে এবং স্থানীয় বাজারে বিক্রয় করে তিনি প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জন করেন। বাবরের ব্যবসায়ের সফলতা দেখে গ্রামের অন্যরাও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ধান ও মাছ চাষে ব্যাপক আগ্রহী হয়ে ওঠে।
4.
রিপন ও অভি দুই বন্ধু রাজশাহীর আম বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে অনলাইনে সারাদেশে বিক্রয় করেন। গত মৌসুমে অনলাইনে তাদের বিক্রীত আমের মান, গুণ ও স্বাদ নিয়ে অসংখ্য ক্রেতা প্রশ্ন তোলেন। অনেক ক্রেতা বিক্রীত আম অপরিপক্ক বলে অভিযোগ দেন। রিপন ও অভি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন দ্রুত পাকানোর জন্য বিক্রেতা আমের মধ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক কার্বাইড স্প্রে করেন। এ বছর তারা পূর্বের বাগান থেকে আম না কিনে নতুন বাগান থেকে আম সংগ্রহ করবেন যিনি অপরিপক্ষ আমে ক্ষতিকর রাসায়নিক না মিশানোর প্রতিকৃতি দিয়েছেন।
5.
তুর্ক, শিলা, ইফতি ও রানা চুক্তির ভিত্তিতে পাঁচ বৎসর মেয়াদি একটি পার্সেল ডেলিভারি ব্যবসায় আরম্ভ করলেন। তারা প্রচলিত আইনে তাদের সংগঠনটি নিবন্ধন করেনি। সম্প্রতি তাদের একজন দেনাদারের কাছ থেকে পাওনা ৮০,০০০ টাকা বার বার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে তারা আদালতের আশ্রয় নিতে গেলে আইনজীবী মামলা করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেন ।