1. জনাব আব্দুস সালাম একজন কলেজ শিক্ষক। তিনি তার এলাকায় রাস্তার দুপাশে বিভিন্ন প্রকার গাছ লাগিয়েছেন। এছাড়াও ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য তিনি রাস্তার মোড়ে মোড়ে 'ডাস্টবিন' বসান। অপরদিকে তার প্রতিবেশী আসমা বেগম গার্মেন্টস থেকে বাড়ি ফেরার পথে একটি মৃতপ্রায় কুকুর ছানাকে গর্ত থেকে তুলে এনে সেবা-যত্ন করে সুস্থ করে তোলেন।
2. জনাব হাসান ও মিসেস হাসানের একমাত্র সন্তান নাহিদ। প্রাচুর্যে ও আদরে সে বড় হয়ে উঠেছে। কিন্তু আদব-কায়দা, শিষ্টাচারের বড় অভাব। ধর্মীয় বিধিবিধান যেমন মানে না তেমনি শরিয়তের শিক্ষাও তার নেই। নাহিদ বর্তমানে সংসারে কোনো সময় দেয় না। পিতামাতা কোনো কথা বললে তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। শেষ বয়সে সন্তানের কারণে সমাজে তারা অপদস্থ হচ্ছেন।
3. রহমান সাহেব ধনী লোক। কিন্তু তিনি আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীর খোঁজ খবর রাখেন না। তিনি আত্মকেন্দ্রিক ও অহংকারী হওয়ায় সমাজে কেও তাকে শ্রদ্ধা করে না ও ভালোবাসে না।
4. জাফর আলী একজন দরিদ্র কিন্তু সৎ কৃষক। তার একটি গাভী আছে। তিনি দুধ বিক্রি করে কোনো রকমে সংসার চালান। তার সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকে। তাই তার স্ত্রী জামিলা অতিরিক্ত আয়ের জন্য মাঝে মধ্যে দুধের মধ্যে পানি মিশিয়ে এবং ওজনে কম দিয়ে বিক্রি করতে বলেন ৷ কিন্তু তিনি স্ত্রীকে বুঝিয়ে বলেন, মানুষকে ফাঁকি দেওয়া গেলেও আল্লাহর দৃষ্টিকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব নয়'।
5. সাকিব ও সালমান দুই বন্ধু। একদিন ক্লাসের ফাঁকে তারা দেশের সমাজব্যবস্থার অবক্ষয় নিয়ে কথা বলছিল। সাকিব বলল বন্ধু আমাদের দেশে এমন একটি সমাজ দরকার যার আইনের উৎস হবে ঐশিবাণী নির্ভর যোগ্য ব্যক্তিদের পথ অনুসরণে চলবে সামাজিক রীতি-নীতি। জীবনের শেষেও জবাবদিহিতার বিষয় রয়েছে। একথা শুনে সালমান বললো, বর্তমান সমাজব্যবস্থা দুনিয়াপ্রীতির দিকে ধাবিত করে।