1. 'স্বপ্নীল' সিলেট শহরে অবস্থিত একটি বৃহদায়তন বিভাগীয় বিপণি। এখানে বিভিন্ন বিভাগের মাধ্যমে ছেলে ও মেয়েদের বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা হয়। এখানে টি-শার্ট বিভাগে বিক্রির কাজে নিয়োজিত আছেন মৌটুসী। মৌটুসী স্মার্ট ও সুদর্শন চেহারার অধিকারী। পণ্য সম্পর্কিত যথেষ্ট জ্ঞান থাকায় তিনি সাবলীল ভাষায় পণ্য সম্পর্কিত তথ্য ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরেন। এর মাধ্যমে আগত ক্রেতাদের মুগ্ধ করে স্থায়ী ক্রেতায় পরিণত করেন। ফলে অল্পসময়ে 'স্বপ্নীল'-এর বিক্রি ও মুনাফা বেড়ে যায় ।
2. 'মাধুরী ফুল ঘর' ঢাকার শাহবাগ মোড়ে অবস্থিত। এর মালিক জনাব আরিফ যশোরের গদখালীর ফুলচাষিদের কাছ থেকে বিভিন্ন জাতের ফুল সংগ্রহ করেন। এরপর সেগুলো তার দোকানের মাধ্যমে বিক্রি করেন। বিশ্ব ভালবাসা দিবস, ১লা ফাল্গুন, নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে ঐ সময়গুলোতে ফুল বিক্রি করে. জনাব আরিফ আর্থিকভাবে অনেকটা লাভবান হন। কিন্তু এ বছর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও অতি বৃষ্টিপাতের কারণে ফুল উৎপাদন ব্যাহত হয়। এতে ফুলের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও তিনি সময়মতো ফুল সংগ্রহ করতে পারেননি ফলে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ অবস্থায় তিনি বেশ চিন্তিত।
3. অপরূপা ফ্যাশন হাউজ' ও 'শতরূপা ফ্যাশন হাউজ' ঢাকা শহরে অবস্থিত দুটি নামকরা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দু'টি নিজেদের তৈরি করা থ্রি পিস, শার্ট, টি-শার্ট ও পাঞ্জাবি ঢাকা শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে শো-রুমের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকে। 'শতরূপা ফ্যাশন হাউজ' সম্প্রতি তাদের পণ্যের ওয়েবসাইট চালু করেছে। উক্ত ওয়েবসাইটে তাদের পণ্যের ছবি ও ক্যাটালগ উপস্থাপন করে থাকে। অনেক বাঙালি বিদেশে অবস্থান করে। তারা প্রবাসে অবস্থান করলেও তাদের কাছে দেশীয় পোশাকের আকর্ষণ অনেক বেশি। ওয়েবসাইট থেকে তারা উক্ত ফ্যাশন হাউজের পণ্য সহজেই কিনতে পারে। ফলে 'অপরূপা ফ্যাশন হাউজ'-এর তুলনায় 'শতরূপা ফ্যাশন হাউজ'-এর বিক্রি দ্বিগুণ হারে বেড়ে যায়।
4. 'দিশা গ্রুপ' KFC নামে টেবিল ও সিলিং ফ্যান উৎপাদন করে সারাদেশে সুনামের সাথে বাজারজাত করে আসছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের ২০০০-২০১৬ সালের উৎপাদিত ফ্যানের, বিক্রি ও মুনাফা চিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হলো-
5. মি. রমেশ নাটোর শহরের একজন মাছ ব্যবসায়ী। ইলিশের মৌসুমে তিনি বরিশাল থেকে এক সাথে অনেক ইলিশ মাছ কেনেন। এগুলো তার দোকানে এনে বিভিন্ন গ্রেডে (যেমন: বড়, মাঝারি, ছোট আকারে) ভাগ করে বিক্রি করেন। ফলে ভোক্তারা সহজেই পছন্দমতো ইলিশ মাছ কিনতে পারে। কিন্তু মৌসুমে ইলিশের দাম কম থাকে। তাই তিনি কিছু মাছ ভবিষ্যতে বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করেন। বছরের অন্যান্য সময় যেমন: পহেলা বৈশাখ, ঈদ ও কোরবানিতে সেগুলো চড়াদামে বিক্রি করেন। এভাবে মি. রমেশ আর্থিকভাবে যথেষ্ট লাভবান হন।