1. জসিম উদ্দিন কালিকট রাজ্যের একজন শক্তিশালী ও ধর্মভীরু শাসক। সাম্রাজ্য বিস্তারের নেশায় তিনি তার পার্শ্ববর্তী হরিণাচল অঞ্চলের দিনে দৃষ্টি দেন। এ সময় হরিণাচলের নেতাদের মধ্যে রাজনৈতিক অনৈক্য, অবিশ্বাস আর বিবাদের সুযোগে জসিম উদ্দিন উক্ত অঞ্চল আক্রমণ করেন। সেখানকার শক্তিশালী শাসক রামচন্দ্রের কাছে প্রথম বার পরাজিত হলেও দ্বিতীয়বার আক্রমণ করে রামচন্দ্রকে পরাজিত ও নিহত করেন। এ জয়লাভের মধ্য দিয়ে হরিণাচল অঞ্চলে তিনি একটি স্থায়ী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন।
2. “ক” রাজ্যের স্থানীয় শাসনকর্তার আমন্ত্রণ পেয়ে “প” রাজ্যের শাসক একটি নতুন সাম্রাজ্যে প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু এই সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠার প্রথমদিকে “প” সর্বপ্রথম কামান ব্যবহার করেন এবং ‘ম’ রাজ্যের শাসককে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেন। এই পরাজয়ের মধ্য দিয়ে ম’ নামক শাসকের বংশের শাসনের অবসান ঘটে সাম্রাজ্য রাজ্যের শাসকের মাধ্যমে এবং ভারতে ‘প' নামক নতুন রাজবংশ ও সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয় ।
3. অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাসরত বাঙালিরা প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে একটি বিশেষ দিন উদযাপন করেন। তারা দিনের শুরুতে 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো' গানটি পরিবেশনের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রমের সূচনা করেন। তারপর তারা খালি পায়ে প্রভাত ফেরি করে একটি বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অপরাহ্ণে তারা মাতৃভাষার চেতনায় দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার শপথের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রমের সমাপ্তি করেন।
4. বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জান্নাত ও ইলমা আলোচনা করছে। জান্নাত বলছে, ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় এবং যুদ্ধ পরিচালনার জন্য কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরের ভবেরপাড়া গ্রামের বৈদ্যনাথ তলায় একটি সরকার গঠিত হয়। ইলমাও জান্নাতের সাথে সহমত প্রকাশ করে বলে, এই সরকারের সুষ্ঠু তত্ত্বাবধানের ফলেই বাংলাদেশ মাত্র ৯ মাসের মধ্যে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়।
5. মোঙ্গল নেতা কুবলাই খান মধ্য এশিয়ায় বারবার অভিযান পরিচালনা করতেন। কিন্তু তিনি সেসব অভিযানে বিজয়ী হয়ে সেখানে আধিপত্য বিস্তার না করে বরং সেখানকার ধন-সম্পদ লুটতরাজ করে নিয়ে রাজধানী পিকিংকে সমৃদ্ধশালী করতেন। কুবলাই খান শিল্প-সাহিত্যের সমঝদার ছিলেন। তিনি একজন কবিকে দিয়ে কাব্যগ্রন্থ লিখিয়ে তার পারিশ্রমিক ওয়াদামতো প্রদান করেননি।