1. জনাব বারিক মৃধা সমাজ সচেতন মানুষ। তিনি পশুপাখি ও জীবজন্তুর প্রতি সদয় আচরণ করেন। নিয়মিত বৃক্ষ রোপণ করেন। অন্যদিকে জনাব খোদা বকস একজন শিল্পপতি। তিনি আবাসিক এলাকায় বৃহৎ শিল্প গড়ে তুলেছেন । তাছাড়া গাছ কেটে শিল্পের কাঁচামাল যোগান দেন।
2. অধ্যাপক আব্দুল হাই একাদশ শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা পাঠদানকালে বললেন, ইসলামের বিধান হলো, যারা বিত্তবান তারা অবশ্যই বছরান্তে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ নির্ধারিত খাতে ব্যয় করবেন। এতে সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, পবিত্র হবে এবং সমাজে ধনী ও গরিবের মাঝে বৈষম্য দূর হবে। তিনি আরও উল্লেখ করলেন, তার প্রতিবেশী 'মিস্টার ওয়াই' একজন ধনী মানুষ। তিনি কারও সাথে ন্যায়নিষ্ঠ আচরণ করেন না। পাশের বাড়ির অসহায় লোকদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন না।
3. জিয়াদ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান শ্রেণীতে অধ্যয়ন করে। জিহাদের ছোট বোন রহিমা তাকে বলে, ভাইয়া তুমি কোন বিষয়ে পড়?- জিহাদ বলল, আমি এমন একটি বিষয়ে পড়ি, যাতে আল্লাহর পরিচয়, তাঁর প্রতি ইমান ও আনুগত্য সম্পর্কে জানা যায় এবং ইবাদাত বন্দেগির মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের উপায় জানা যায়। জিহাদের পিতা গ্রামের মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ান। তিনি গ্রামের ছেলে-মেয়েদের দৈনন্দিন জীবনে যে সকল কাজ করতে হয়, যথা: সার্বক্ষণিক আল্লাহকে স্বরণ করা, কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা, কারও সাথে দেখা হলে সালাম দেওয়া, মসজিদে ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা ইত্যাদি শিক্ষা দেন।
4. আফতাব উদ্দীন একজন নববিবাহিত যুবক। তিনি ইসলামের বিধান মেনে বিবাহ মজলিসে ধার্যকৃত নগদ অর্থ স্ত্রীকে প্রদান করেন। পক্ষান্তরে, তার বন্ধু আব্দুল লতিফ বিয়ের পর ব্যবসা করার জন্য শ্বশুরের নিকট এককালীন মূলধন দাবি করেন এবং এ বিষয়ে স্ত্রীকেও চাপ দিতে থাকেন।
5. চাকরিজীবী আফিফা সম্প্রতি একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। তার নাম রাখা হয় আয়েশা। আয়েশার জন্মের পর সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ছয় মাস পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ ছাড়া শিশুকে অন্য কোনো খাবার দিতে মা-বাবাকে নিরুৎসাহিত করেন। ডাক্তারের পরামর্শ বিবেচনা করে আফিফা যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর ছয় মাসের ছুটির জন্য আবেদন করেন। কর্তৃপক্ষ কেবল এক মাসের ছুটি মঞ্জুর করে। এতে আফিফা সন্তুষ্ট হতে না পেরে চাকরি ত্যাগ করেন এবং আয়েশাকে সুষ্ঠুভাবে প্রতিপালনে মনোনিবেশ করেন । আফিফার স্বামী রায়হান একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে হাসিমুখে বাসায় ফিরেন। আফিফার শরীরের খোঁজ- খবর নেন, তার সাথে উত্তম ব্যবহার করেন এবং কোনো প্রকার ত্রুটি বিচ্যুতি দৃষ্টিগোচর হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। তার এরূপ ব্যবহারে আফিফা নিজেকে ধন্য মনে করেন এবং গৌরববোধ করেন।