1. নদী ও সাগর একটি কারবারের দুইজন অংশীদার। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে উত্তোলন ও মুনাফার অংশ সমন্বয়ের পর তাদের মূলধনের পরিমাণ দাঁড়ায় যথাক্রমে ১,১০,০০০ টাকা ও ৯০,০০০ টাকা। পরবর্তীতে দেখা গেল যে, মূলধন ও উত্তোলনের উপর বার্ষিক ৫% হারে সুদ এবং সাগরের জন্য প্রদেয় মাসিক ৬০০ টাকা হারে বেতন হিসাবভুক্ত হয়নি। তারা নিজেদের মধ্যে ১০,০০০ টাকা বণ্টনযোগ্য মুনাফা সমান হারে ভাগ করে নিয়েছিল। অংশীদারদের প্রত্যেকের উত্তোলনের পরিমাণ ছিল ১০,০০০ টাকা। উত্তোলনের উপর এক বছরের সুদ ধার্য করতে হবে।
2. জসিম, আমিন ও সাদি একটি অংশীদারি ব্যবসায়ের তিনজন অংশীদার। তারা ব্যবসায়ের লাভ বা ক্ষতি ৩ : ২ : ১ অনুপাতে বণ্টন করে নেয়। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে জসিম ১,০০,০০০ টাকা, আমিন ৮০,০০০ টাকা ও সাদি ৬০,০০০ টাকা মূলধন আনয়ন করেন। অংশীদারদের চুক্তি অনুসারে-
১. অংশীদারদের মূলধন ও উত্তোলনের ওপর যথাক্রমে ১০% ও ৫% হারে সুদ ধরতে হবে।
২. সাদি ব্যবসায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা করে বেতন পাবেন।
অংশীদারগণ বছরের মাঝামাঝি সময়ে নগদ উত্তোলন করেন, যা যথাক্রমে জসিম ১০,০০০ টাকা, আমিন ১৫,০০০ টাকা এবং সাদি ৮,০০০ টাকা। নগদ উত্তোলন ছাড়াও সাদি ১,৫০০ টাকার পণ্য উত্তোলন করেন। জসিম ০১-১০-২০২৩ তারিখে ২০,০০০ টাকা অতিরিক্ত মূলধন আনয়ন করেন।
উপর্যুক্ত সমন্বয়গুলো বিবেচনার পূর্বে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে মুনাফার পরিমাণ ৬৯,৩৫০ টাকা। আমিন ও সাদি জসিমকে যৌথভাবে নিশ্চয়তা প্রদান করে যে, জসিমের বণ্টনযোগ্য মুনাফা ২১,০০০ টাকার কম হবে না।
3. জালাল কোম্পানির অবস্থার বিবরণী নিম্নরূপঃ
সংশ্লিষ্ট বৎসরে কোম্পানি মোট ১৫,০০,০০০ টাকার পণ্য বিক্রয় করেছে। বিক্রিত পণ্যের ব্যয়ের উপর ২০% লাভে পণ্য বিক্রয় করা হয়। পরোক্ত খরচ ৫,০০০ টকা।
5. আলি কোম্পানি লিমিটেড এর অনুমোদিত মূলধন ৮,০০০ শেয়ার প্রতিটি ১০০ টাকা। কোম্পানি অনুমোদিত মূলধনের ৫০% শেয়ার ১০% অবহারে মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বাজারে ছাড়লো। কোম্পানি ইস্যুকৃত মূলধনের অতিরিক্ত ২৫% শেয়ারের আবেদন পায়। কিন্তু অতিরিক্ত আবেদনের সম্পূর্ন অর্থ সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের ফেরত দেয়া হয়। ২৫,০০০ টাকা শেয়ার দায় গ্রাহকের দস্তুরি বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে।