1. বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে 'বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা বৃদ্ধি' উৎসমূল হিসেবে কাজ করছে। মানুষের জীবন-জীবিকায় এটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ প্রতিকূল অবস্থা থেকে থকে উত্তরণে সমাজকর্মীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
2. করোনা মহামারি সমগ্র বিশ্বে তার কড়াল থাবা বিস্তার করেছিল বাংলাদেশ এর বাইরে ছিল না। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হওয়ার কারণে আমাদের দেশের অফিস, আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে। জরুরি চিকিৎসা সেবায়ও সংকট দেখা দেয়। চিকিৎসা সংকটের কারণে অনেক মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করতে থাকে।
3. “ক“ একজন ভূমিহীন অতি দরিদ্র মানুষ। দারিদ্র্যকে সে তার জীবনে অভিশাপ মনে করে। দারিদ্র্যের কারণে তার পরিবারের সদস্যরা নিয়মিত ভরণপোষণে ব্যর্থ হচ্ছে। এ অবস্থায় সে একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবামূলক সংস্থা থেকে ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণ করে। শুধু তাই নয়, ওই সংস্থা পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার ছেলে-মেয়ে ভর্তি হওয়ায় তারা এখন অনেক খুশি। ধীরে ধীরে তার পরিবার অতি দারিদ্র্যের আবর্ত থেকে বেরিয়ে আসছে।
4. ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর ভারত থেকে বহু মোহাজের এদেশে আসায় দেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে। তৎকালীন সরকারের পক্ষে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব না হওয়ায় ১৯৫১ সালে জাতিসংঘের নিকট পরামর্শ ও সাহায্য চাওয়া হয়। যার প্রেক্ষিতে ১৯৫৫ সালে 'ঢাকা প্রজেক্ট প্রকল্প' চালু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে গ্রামীণ সমাজসেবা (RSS) কর্মসূচি চালু করা হয়। এ কর্মসূচির অধীনে গ্রামীণ জনগণকে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, সুদমুক্ত ঋণ, মাতৃকেন্দ্র, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের প্রসার ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয় । এ কার্যক্রমটি গ্রামের জনগণের দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
5. ‘A’-এর বয়স ১০ বছর। সে কারও সঙ্গে কথা বলে না। তার সাথে কেউ কথা বললে কোনো উত্তর দেয় না। তার বাবা-মা তাকে স্কুলে পাঠান না। কারণ সে অযথা সবার গায়ে থুতু ছিটায়। তবে সে অনেক সুন্দর ছবি আঁকতে পারে।