1. ১৯৬৪ সাল থেকে ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা পৃথক রাষ্ট্রের জন্য সংগ্রাম করে আসছে। কিন্তু ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে তারা সফল হতে পারেনি। ১৯৮২ সালে তারা তিউনিশিয়ার রাজধানী তিউনিশে সদর দপ্তর স্থাপন করেন। প্রবাস থেকেই তারা তাদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
2. স্বদেশপ্রেম ইমানের অঙ্গ-কথাটি সব লোকের কাছেই গ্রহণযোগ্য। তাইতো শামসাদের দেশের সকল ধর্মের জনগণ তাদের দেশের বিভক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বিদেশি শাসকদের বেকায়দায় ফেলার জন্য তারা বিদেশি শিক্ষা ও পণ্যও বর্জন করেছিল । গড়ে তুলেছিল বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কিছু সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষা কেন্দ্ৰ । শামসাদের এক পূর্বপুরুষ এই আন্দোলনের নেতা ছিলেন ।
3. ১৯৩৯ সালে জার্মানি ও পোল্যান্ডের মধ্যে শুরু হয় যুদ্ধ, যা সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মুসলিমপ্রধান দেশ তুরস্ক জার্মানির পক্ষে যোগ দেয়। অপরদিকে, ব্রিটেন জার্মানির বিপক্ষে অবস্থান নেয়। ফলে মুসলমানরা এ যুদ্ধে ব্রিটিশদের পক্ষে অস্ত্রধারণ করতে অসম্মত হয়। ব্রিটিশরা মুসলমানদের এই বলে আশ্বস্ত করে যে, যুদ্ধে জয়ী হলে তারা তুরস্কের কোনো ক্ষতি করবে না। কিন্তু ব্রিটিশরা মুসলমানদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে ভারতীয় মুসলিমরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে।
4. কে জানতো মাত্র ১৫ বছরের জন্য বাণিজ্য সনদ গ্রহণকারী ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এ দেশটিকে প্রায় ২০০ বছর শাসন করবে। কিন্তু তাই হয়েছিল। তমার দেশের ধন-সম্পদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এই ব্যবসায়ী শ্রেণি ধীরে ধীরে তাদের ব্যবসায় সম্প্রসারণ করেছিল। কলা কৌশলে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে সাম্রাজ্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে তারা শক্তি সঞ্চয় করেছিল। এক সময় এই ব্যবসায়ী গোষ্ঠী অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিণত হয়েছিল
5. জামাল আবদেল নাসের মিশরের জাতীয়তাবাদী নেতা। মিশর তখন ব্রিটিশ শাসনাধীনে। নাসের মিশরের জনগণকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করেন। মিশরীয় জনগণের ঐকবদ্ধ আন্দোলনের মুখে ব্রিটিশরা মিশর ছাড়তে বাধ্য হয় । ফলে মিশর স্বাধীন হয়।