1. সুমনা একজন সমাজকর্মী। তার নিকট একজন সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি সাহায্যের জন্য আসেন। সমস্যাগ্রস্ত বলে তিনি তাকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেন এবং সমস্যা সমাধানে তার মনোভাবের মূল্য ও মর্যাদা দেন। ফলে সুমনার সাথে সাহায্যার্থীর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে ও সমস্যার ফলপ্রসূ সমাধান হয়।
2. কেশবপুর গ্রামের বেশিরভাগ জনগণ অসচেতন, অসংগঠিত ও দরিদ্র। গ্রামের একজন উচ্চ শিক্ষিত যুবক জুয়েল গ্রামের যুবকদের একত্রিত করে একটি সমবায় সমিতি গঠন করে এবং সদস্যদের চাঁদা, অনুদান, সরকারি আর্থিক ও কারিগরি সাহায্য নিয়ে সমবায় পদ্ধতিতে চাষাবাদ, হাঁস-মুরগী পালন, শিক্ষা কার্যক্রম প্রভৃতি কর্মসূচি গ্রহণ করেন এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত ও স্বাবলম্বী করতে চেষ্টা করেন।
3. শিল্পবিপ্লবের ফলে উৎপাদন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হওয়ার পাশাপাশি বহুমুখী জটিল ও পরস্পর সম্পর্কিত সমস্যার সৃষ্টি হয়, যা অর্থ ও বস্তুগত সেবার মাধ্যমে সমাধান দেয়া সম্ভব ছিল না। শিল্প বিপ্লবোত্তর আধুনিক সমাজের সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিনির্ভর ও বুদ্ধিভিত্তিক পেশাদার সেবা কার্যক্রমের প্রয়োজন দেখা দেয়।
4. পরেশ দেবনাথ ধনাঢ্য ব্যক্তি। তিনি তার সম্পত্তির কিছু অংশ পাপমোচন, স্বর্গলাভ এবং ভগবানের সন্তুষ্টির জন্য স্থায়ীভাবে উৎসর্গ করেন। তার বিশ্বাস তার এ কাজের ফলে পরপারে মুক্তি পাবেন।
5. ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপায় “আত্মহত্যার হার অনেক বেশী” বলে বিবেচিত। আত্মহত্যার হার সত্যিই বেশি কিনা জানার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. কিবরিয়া কিছু শিক্ষার্থীকে নিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল আত্মত্যাকারীর সংখ্যা, বয়স, শিক্ষা, কারণ, প্রেক্ষাপট, জীবিকা, আর্থ- সামাজিক অবস্থাসহ অন্যান্য সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই- বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রতিবেদন তৈরি ও সুপারিশ করা।