1. মি. নাজমুল হাসান একটি রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে সবসময় কুশল বিনিময় করেন। তিনি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কেবল আদেশ-নির্দেশই প্রদান করেন না সময় সময়ে পরামর্শ এবং প্রেষণাও দিয়ে থাকেন। তিনি আদেশ নির্দেশের পূর্বে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অধস্তনদের মূল্যায়ন করেন। এতে অধস্তনরাও তার ওপর বেশ সন্তুষ্ট ও তারা সকল কাজে হাসান সাহবেকে সহযোগিতা করেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাকে একক সিদ্ধান্তও নিতে হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানটি একটি সফল প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
2. জনাব খালিদ হাসান নর্থ-সাউথ মোটরস লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিমি অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছেন। তার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখায় কর্মীর শূন্য পদ পূরণের জন্য দক্ষ ও যোগ্য কর্মী নির্বাচনের জন্য তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। নির্বাচিত কর্মীদেরকে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তিনি স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেন। এতে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং প্রতিষ্ঠান সফলতার মুখ দেখতে পায়।
3. জনাব তানজিমুল ইসলাম সম্প্রতি কানাডা থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করে দেশে ফিরেছেন। তিনি দেশে ফিরে অন্য কোনো চাকরির খোঁজ না করে তাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বিসি টেক লি, এ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করলেন। তিনি কিছু কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার উদ্যোগ নেন। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের সময় বিবেচনা করে পদোন্নতির ব্যবস্থা করলেন। ফলে যোগ্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিল। অধিকন্তু পদোন্নতিপ্রাপ্তরা দক্ষতার সাথে কাজ চালিয়ে নিতে পারলেন নাস্ত্র এ জন্য প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হলো।
4. মি. রাতুল তার প্রতিষ্ঠানের কাজগুলোকে বিভাগ অনুযায়ী ভাগ করেছেন। তবে বিভাগের যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা তার হাতে রেখে দিয়েছেন। এতে বিভাগীয় ব্যবস্থাপকরা কোনো সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবে নিতে পারেন না। এদিকে প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের চেয়ে তার প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় কমে যাওয়ায় তিনি নতুন করে পরিকল্পনা করার চিন্তা করছেন।
5. নাভানা টেক্স লি. একটি বৃহদায়তন তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কার্যাবলিকে কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করা হয়। তারপর প্রত্যেক বিভাগের দায়িত্ব একজন বিশেষজ্ঞ কর্মীর ওপর ন্যস্ত করা হয়। বিশেষজ্ঞগণ মূলত নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। ফলে প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি সফলতার সাথে সম্পন্ন হয়।