1. রূপনগর ও স্বপ্নপুরী নিয়ে মহারাজা অশোক চৌধুরীর জমিদারী। চৌধুরী সাহেবের বাড়ী রূপনগরে হওয়ায় যাবতীয় উন্নয়ন কার্য পরিচালিত হয় রূপনগরকে কেন্দ্র করে। স্বপ্নপুরীর জনগণের উৎপাদিত ফসল অন্যত্র রপ্তানি করে যে অর্থ আয় হতো তা ব্যয় করা হতো রূপনগরের ব্যবসা- বাণিজ্য, রাস্তাঘাট ও শিল্পকারখানার উন্নয়নে। এর ফলে স্বপ্নপুরীর জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। অবশেষে আন্দোলনের মাধ্যমে স্বপ্নপুরীর জনগণ রূপনগর হতে পৃথক ও স্বাধীন হয়ে যায় ।
2. ঘানার অবিসংবাদী নেতা নকুমা ১০ জুলাই ১৯৩৫ সালে জনগণের উদ্দেশ্যে এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। তার ভাষণে তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে ঘানার জনগণকে সংঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় দেশের জনগণকে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। নকুমার এ আহ্বানে থানার জনগণ স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করে।
3. রীমা তার মায়ের সাথে রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে যায়। তার মা বলেন, 'এখানে মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।' তার মা আরও বলেন যে, “মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী একটি বিশেষ বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় ভূমিকা রাখে।
4. রংপুর দীর্ঘদিন রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিল। আয়তনে বিশাল এ বিভাগের শাসনকার্য পরিচালনার সুবিধার জন্য বিভাগকে ভেঙে রাজশাহী ও রংপুর নামে দুটি আলাদা বিভাগ করা হয়। এতে রংপুরবাসী খুশি হয়। রংপুরে তৈরি হতে থাকে প্রশাসনিক ভবন, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, রাস্তাঘাট। বিভাগীয় শহর হওয়ায় অল্পদিনে অনেক উন্নত রূপ লাভ করে রংপুর।
5. শোভন তারা বাবা-মায়ের সাথে চট্টগ্রাম ঘুরতে যায়। সেখানে তারা অনেক স্থান ঘুরে দেখে। তারা চট্টগ্রামে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র দেখতে যায়। তার বাবা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার একটি ঐতিহাসিক ঘটনা এই বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে ঘটে।