1. মি. X-এর উৎপাদন প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভালো মুনাফা করেছে। ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য তিনি মুনাফার ১০% হাতে রেখেছেন। সাভারের একটি প্লট বিক্রয়ের অর্থও ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। এই পরিমাণ পুঁজি যথেষ্ট না হওয়ায় তিনি সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে তার প্রতিষ্ঠানটিকে তালিকাভুক্ত করেন। তিনি এ বছর সেখান থেকে ৫০০ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করেন। এই অর্থ প্রাপ্তি তার জন্য ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়ক হয়েছে। একটি ব্যাংকের স্থানীয় শাখার সাথেও তার লেনদেন রয়েছে।
2. শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, পরিবহন ও যোগাযোগ বাবদ ব্যয় এবং দুঃস্থ ও বয়স্কভাতাসহ অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ সরকারের সামগ্রিক ব্যয় উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এসব ব্যয় নির্বাহের জন্য সরকার একদিকে দেশের অভ্যন্তরে জনগণ, বাণিজ্যিক ব্যাংক, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করছে। অন্যদিকে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা ও রাষ্ট্র থেকেও ঋণ গ্রহণ করছে।
3. 'ক' দেশ 'খ' দেশকে একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য দুইশত কোটি ডলার বৈদেশিক সাহায্য প্রদান করে। চুক্তির শর্তানুযায়ী 'ক' দেশ সেই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য যন্ত্রপাতি, প্রকৌশলী ও শ্রমিক পাঠায়। শর্ত থাকায় 'খ' দেশ দক্ষ জনবল থাকা সত্ত্বেও এক্ষেত্রে নিজেদের শ্রমশক্তি ব্যবহার করতে পারেনি। সম্প্রতি 'খ' দেশের সরকার এ ধরনের দ্বিপক্ষীয় কর্মসূচিসমূহ সীমিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। দেশটি নিজস্ব শ্রম ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে রপ্তানির উদ্দেশ্যে তৈরি পোশাক, পাটপণ্য ও মাছ উৎপাদনের বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। দেশটি আর বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করতে চায় না।
4. ’ক' একজন কৃষক। পূর্বের তুলনায় ফসলের উৎপাদন অধিক হওয়ায় তিনি খুব খুশি। যথাসময়ে স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়ায় তিনি স্থানীয় কৃষি ব্যাংকের ম্যানেজারকে ধন্যবাদ দেন। ম্যানেজার সাহেব 'ক' কে বলেন, অধিক ফসল উৎপাদনের পেছনে সরকারের ভূমিকাই মুখ্য। প্রান্তিক কৃষকদের কথা ভেবে সরকার ঋণের সুদের হার কমিয়েছে। বিগত দশকে সরকার দেশে ২৪টি শস্যখামার স্থাপন করেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে অপেক্ষাকৃত সুলভমূল্যে বিক্রীত সারের পরিমাণ ছিল ৪৭.৯১ লক্ষ মেট্রিক টন। কৃষি বিভাগ কর্তৃক চারা উৎপাদনেও বেশ সাফল্য ছিল। বর্তমানে সরকার ৬০ লক্ষ হেক্টর জমি সেচের আওতায় এনেছে। তথাপি-কৃষকের মনে উৎপাদন ব্যয় ও ন্যায্য দাম নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
5. জনি মিয়া একজন দিনমজুর। বাজারে খাদ্যমূল্য অত্যধিক হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের খাদ্য যোগাতে তাকে হিমশিম খেতে হয়। দেশি-বিদেশি ফল, মাছ, মাংস, দুধ, পনির এসব খাবার তার ছেলে-মেয়েরা খেতে পায় না। তাদের রান্না ঘরটাও বেশি ভালো নয়। ফ্রিজ, গ্যাসের চুলা তাদের নেই।