1.
শাফায়াত ও সাজ্জাদ দুই বন্ধু সম্প্রতি একটি খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে সরকারি অফিসে কর্মরত। শাফায়াত সময়মতো অফিসে যান এবং যথার্থভাবে গ্রাহকসেবা প্রদান করেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও অফিসে ফাইল জমা করে রাখেন না। সরকারি নীতির বাইরে তাকে দিয়ে কোনো কাজ করিয়ে নেওয়ারও কোনো সুযোগ তিনি কাউকে দেন না। অন্যদিকে, সাজ্জাদ চাকরির বাইরে শেয়ার ব্যবসায় যুক্ত, অফিসে প্রায়ই দেরিতে উপস্থিত হন এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অফিস থেকে বের হয়ে যান। এমনকি গ্রাহকদের নিকট থেকে বাড়তি সুবিধা আদায় করেন।
2.
জনাব শামীম একজন ব্যবসায়ী। বছর শেষে তার সম্পদের হিসাব করে নির্দিষ্ট একটি অংশ গরিবদের মাঝে বণ্টন করেন। অপরদিকে, তার প্রতিবেশী নাসিম একজন ধনী কৃষক। তার জমির উৎপাদিত ফসলের কোনো অংশই গরিবদেরকে দেন না।
3.
জনাবা সুফিয়ার স্বামী জনাব আরমান একজন মৎস্য কর্মকর্তা। সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে জনাব আরমান হাসিমুখে বাসায় ফিরেন। স্ত্রীর খোঁজখবর নেন এবং তার সাথে ভালো ব্যবহার করেন। অপরদিকে, আরমানের আরেক সহকর্মী রায়হান সাহেব অফিস শেষে যথাসময়ে বাড়ি যান এবং স্ত্রী সন্তানদের খোঁজ খবর রাখেন না। সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যাপারেও উদাসীন।
4.
জনাব সোহেল ইমরানের তিন সন্তানের সংসারে বেশ সুখেই দিন কাটছিল। হঠাৎ ছোট ছেলে শাহেদ প্রচন্ড জ্বরে আক্রান্ত হলে দৃষ্টি লোপ পেতে থাকে। দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার তিন সপ্তাহের চিকিৎসা দেন। এর পরও শাহেদের দৃষ্টি দিন দিন অবনতি হতে থাকে এবং শেষপর্যন্ত দৃষ্টিহীন হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তার লেখাপড়ার জন্য তার পিতা তাকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন স্কুলে ভর্তি করে দেন। পক্ষান্তরে, আব্দুল আলিম পাঁচ সন্তানের জনক, তার সংসারে অভাব লেগেই থাকে। সংসারে সচ্ছলতা আনার জন্য তার আট বছরের ছেলেকে কারখানায় কাজ করার জন্য পাঠিয়ে দেন।
5.
জনাব আবুল কাশেম একটি মসজিদের ইমাম। তিনি এক খুতবায় বলেন, সন্তানদেরকে ইমান-আকিদা, হালাল-হারাম, ন্যায়-অন্যায়, শিষ্টাচার, নম্রতা, ভদ্রতা সম্পর্কে জ্ঞান দান করা প্রত্যেক বাবা-মার কর্তব্য। উক্ত শিক্ষার অভাবে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও অনেকে নানাবিধ অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। মহানবি (স.) বলেছেন, "তোমরা জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা কর এবং তা মানুষকে শিক্ষা দাও।"