1. নাদির শাহ প্রজাদের সুবিধার্থে যে খাল খনন করেছিলেন তা আমাতুন বিবির খাল নামে পরিচিত। নাদির শাহের রাজ্যের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের কথা, মানুষের মুখে মুখে। প্রজাদের প্রতি তার দরদ বিশ্ববাসী জেনে যায়। তার পার্শ্ববর্তী শক্তিধর রাজ্যের শাসক মানিক চাঁদ একবার তার রাজ্য আক্রমণ করলে নাদির শাহ এমন দাঁতভাঙা জবাব দেন যে, মানিক চাঁন তার আনুগত্য স্বীকার করে কর প্রদানে বাধ্য হন ।
2. রসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান করিম সাহেব তার ইউনিয়নে ‘জ্ঞানের আলো' নামে একটি পাঠাগার গড়ে তুলেছেন। পাঠাগারটি বিভিন্ন ভাষার বই দ্বারা সমৃদ্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে বই এনে তিনি বাংলায় অনুবাদের ব্যবস্থা করেছেন। অনূদিত বইয়ের মাধ্যমে গবেষণার জন্য একটি গবেষণাগারও প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি এটিকে আন্তর্জাতিক মানের পাঠাগারে পরিণত করতে আগ্রহী ।
3. সিন্ধু নদের তীরে প্রাচীনকালে যে সভ্যতা গড়ে উঠেছিল তাই সিন্ধু সভ্যতা নামে পরিচিত। এটি পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা। নগরের ঘরবাড়ি, ড্রেনেজ ব্যবস্থার চিহ্ন দেখে অনুমান করা হয় এই সভ্যতার নাগরিকরা পারলৌকিক জীবন সম্পর্কে ধারণা রাখত না। সুখ-সমৃদ্ধি তথা পার্থিব জীবনই তাদের আরাধ্য ছিল ।
4. এভারগ্রিন কলেজের শিক্ষার্থীরা সুন্দরবনে বেড়াতে যায়। অধ্যক্ষ তাদেরকে শ্রেণি শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে থাকতে বলেন এবং কোনো অবস্থাতেই তাদের অনুমতি ছাড়া শিক্ষার্থীকে বনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন। ব্যাপক আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের মধ্যে অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী শ্রেণি শিক্ষককে না জানিয়ে বনে প্রবেশ করে এবং বাঘের শিকারে পরিণত হয়। এ দুঃখজনক ঘটনাটি ভ্রমণের আনন্দ কেড়ে নেয় এবং শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি করে। সবাই আপনজন হারানোর বেদনা নিয়ে বাড়িতে প্রত্যাবর্তন করে । শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে বড়দের নির্দেশ সর্বদা পালনীয়। এ শিক্ষা তাদেরকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করে ।
5. রাজা আলমগীর তার সাম্রাজ্যে ব্যাপক সংস্কার সাধন করেন। কেন্দ্রীয় টাকশাল স্থাপন করে নির্দিষ্ট মানের মুদ্রা চালু করেন। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে উপকৃত হয়। ব্যবসা-বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটে। তিনি প্রচলিত ডাক উচ্চস্থাকে আধুনিকীকরণ করেন। সাম্রাজ্যের সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য সুরম্য প্রাসাদ, নান্দনিক স্মৃতিফলক প্রভৃতি নির্মাণ করেন, যা সকলের দৃষ্টি কাড়ে। এভাবে স্থাপত্যশিল্পের বিকাশে তিনি অনবদ্য ভূমিকা রাখেন।