1.
বিভিন্ন মুখের কোটি অশ্বারোহী এসে
খুরে খুরে ক্ষতময় করে গেছে সহনীয়া মাটি,
লালসার লালামাখা ক্রোধে বন্দুক কামান কত
অসুর গর্জনে চিরেছে আকাশ পরিপাটি,
বিদীর্ণ বুক নীল বর্ণ হয়ে গেছ তুমি, বাংলাভূমি
2.
সৌদামিনী মালোর পালিত পুত্র হরিদাসকে নিয়ে মনোরঞ্জন মালো গ্রামময় প্রচার
করে দিল যে সৌদামিনী ভয়ানক শাস্ত্রবিরুদ্ধ পাপ কর্ম করেছে। ব্রাহ্মণের জাত
মেরেছে সে। সৌদামিনী মালোর সাথে মনোরঞ্জন মালোর শত্রæতা আগে ছিল
ব্যক্তিগত এখন তা সমাজগত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু একা মনোরঞ্জন
মালো নয়, সমস্ত গ্রাম সৌদামিনী মালোর বিরুদ্ধে জুলুম শুরু করল।
3.
আত্মদ্বন্ধে পরাভূত মানবাত্মার সকরুণ বেদনা ও সুকঠোর পীড়নের চিত্র যে নাটকে উদঘাটিত
হয় তাকে ট্র্যাজেডি বলে। ট্র্যাজেডি নাটকে নায়কের নিঃসীম দুঃখ ভোগ ও নিদারুণ বেদনা
প্রাণকে বিমথিত করে তোলে। ট্র্যাজেডিতে মৃত্যু অনিবার্য নয়। নায়কের পরাজিত জীবন
মৃত্যুর চেয়েও অধিকতর সকরুণ। প্রতিকূল অবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে শেষ পর্যন্ত
নায়ক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। নিঃশেষ হয়ে পড়ে তার অনমনীয়ক্তি।
4.
সৈয়দপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক উদ্দিন পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে নিজ এলাকায়
প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তার নিকটাত্মীয় মনির একজন বিশ্বাসঘাতক
রাজাকার। কেউই মনিরকে বুঝিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের দলে নিতে পারেনি।
মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে একদিন মনির রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা রফিক উদ্দিনকে
ধরিয়ে দেয় পাকবাহিনীর হাতে।
5.
সুন্দরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রায়হান চৌধুরী সত্যের পথে থেকে সারা জীবন অতিবাহিত করেছেন। তিনি মিথ্যা, ভÐামি পছন্দ করতেন না। তিনি মনে করতেন, মিথ্যা ক্ষণিকের লুকোচুরি খেলা যা মানুষের আত্মবিশ্বাসকে দুর্বল করে দেয়। শিক্ষার্থীদেরও তিনি মিথ্যাকে পরিহার করে সত্যের সুকঠিন পথে চলার উপদেশ দিতেন। তিনি শিক্ষার্থীদের বলতেন, “সত্যই একমাত্র নিজেকে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসের সাথে দাঁড়াতে সাহায্য করে।”